ভবানীপুরে হুমায়ুন প্রার্থী দিলে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে চলে যাবে: শুভেন্দু
দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন ভরতপুরের বিধায়ক শুভেন্দুর (Humayun Kabir)। জানিয়েছেন, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে শুধু লড়াই নয়, ভবানীপুর এবং নন্দীগ্রামে নিজস্ব দলীয় প্রার্থী দিয়ে ‘এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না’ তিনি।
হুমায়ুনের এই ঘোষণাতে পরোক্ষে বিজেপির সুবিধাই দেখছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর । মঙ্গলবার তিনি বলেন, ভবানীপুরে হুমায়ুন প্রার্থী দিলে বিজেপির কোনও অসুবিধা হবে না। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বিগ্ন হওয়াই উচিত!
শুভেন্দুর দাবি, ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটিতে গতবার বিজেপির লিড ছিল। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের বাড়তি প্রাধান্য সেখানে সমীকরণ বদলাত। সেই জায়গায় হুমায়ুন নামলে, মূল লড়াই হবে বিজেপি বনাম হুমায়ুন–ওয়েসি জোট, তৃণমূল চলে যাবে তৃতীয় স্থানে। তাঁর কথায়, “হুমায়ুন যা বলছেন, এতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বিগ্ন হওয়াই উচিত।”
নন্দীগ্রাম নিয়েও কটাক্ষ ছাড়েননি শুভেন্দু। অভিযোগ, হুমায়ুন ‘মুসলিম কার্ড’ খেলছেন। শুভেন্দুর কথায়, “যেখানে মুসলিম ভোট বেশি, সেখানে প্রার্থী দেবেন—ওটা তাঁর রাজনৈতিক কৌশল। বিজেপির এতে কোনও অসুবিধা নেই।” তবে হুমায়ুনের এই হুঙ্কারকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূলের বক্তব্য, গত ১৪ বছরে রাজ্যের উন্নয়ন মানুষ দেখছেন। তাই বিরোধীদের কুৎসা, ষড়যন্ত্র নয়, ভোটে জয় হবে বাংলার উন্নয়নের।
এদিকে হুমায়ুনও থেমে নেই। গত শনিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাসের দিনেই তিনি স্পষ্ট করেন—শিগগিরই তৈরি হবে তাঁর নতুন দল। ২২ ডিসেম্বর টেক্সটাইল মোড়ের সভা থেকেই সেই ঘোষণা করবেন তিনি। শুধু তৃণমূল নয়, বিজেপির বিরুদ্ধেও লড়াই জারি থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সাসপেন্ডড তৃণমূল নেতা।
তাঁর কথায়, “২০২৬-এর ভোটে আমার দলই হবে প্রধান ফ্যাক্টর। কে সরকার গড়বে সেটা পরে—আমার সমর্থন ছাড়া সম্ভব হবে না।”