রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে জোরাল দাবি শুভেন্দুর
পাথরপ্রতিমায় শুভেন্দুর সভায় উঠল রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি। ভিড় থেকে উঠল আওয়াজ। পরপর একাধিক ব্যক্তি বলতে থাকেন, রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। যদিও শুভেন্দু বলছেন, তাঁর যদি ক্ষমকা থাকত তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি রাষ্ট্রপতি শাসন লাঘু করতে পারতেন। একের পর এক ব্যক্তি যখন জোরাল কণ্ঠে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করছেন স্টেজে তখন মাইক হাতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু। কিছু সময়ের মধ্য়েই পাশ থেকে কেউ মাইক হাতে জোরাল কণ্ঠে বলে উঠলেন রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। শুনেই সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বললেন, “জনগণ আওয়াজ তুলুন। আমার হাতে তো ওটা নেই। আমার হাতে থাকলে ওটা এক ঘণ্টা লাগত না।”
পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলছেন, “বিরোধী দলনেতা হিসাবে উনি কী করে গণতন্ত্রের ধ্বংসের কথা বলতে পারেন? রাষ্ট্রপতি শাসন বিশেষ প্রেক্ষিতের জন্য বলা হয়। কোনও গণতন্ত্রপ্রেমী সহজে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলে না। উনি আসলে হতাশা থেকে এসব কথা বলছেন। ছাব্বিশে আসন ৫০ এর নিচে নেমে যাবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই হতাশা থেকেই তিনি এসব বলছেন।”
এদিনই আবার এই পাথরপ্রতিমা, কুলতলিতে যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে শুনতে হয়েছিল গো-ব্যাক স্লোগান, দেখানো হয়েছিল কালো পতাকা। আন্দোলনকারীদের দাবি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদেই তাঁদের এই প্রতিবাদ। তৃণমূলের সাফ কথা, ওটা জনরোষ।
এর আগে আরামবাগের সভা থেকে শুভেন্দু নিজেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সুর চড়িয়েছিলেন এসআইআরের পক্ষে। তৃণমূলের তুলোধনা করে স্পষ্ট বলেছিলেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন। আর রাষ্ট্রপতি শাসন হলে সিপিএম তো তাও টিকে আছে কিন্তু এদের তো অস্তিত্বই থাকবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালি মাফিয়া আর পুলিশ নির্ভর এই তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়াতে উবে যাবে। আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও। সাফ বলেছিলেন বাংলার মানুষ চাইছে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাঘু হোক। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কম চর্চা হয়নি। এবার নতুন চর্চা শুভেন্দু মন্তব্য ঘিরে।