১৪ বছরের আরাধ্যার বিদেশে সম্পত্তি, জানেন কত কোটির বাংলোর মালিক সে? |
মৃত্যুদণ্ড শুনে প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বললেন, প্রহসনের বিচার, আমাদের কথা শুনল কই
মৃত্যুদণ্ড শুনে প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের (Bangladesh News) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষণা করা মৃত্যুদণ্ডের রায়কে প্রহসনের বিচার বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina News)। তাঁর কথায়, এই রায়ে ‘কারসাজি করা হয়েছে’, ‘আগেই ঠিক করে রাখা ছিল’। তা ছাড়া এই রায়কে ‘গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটহীন সরকারের সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। রায় ঘোষণার পর ভারত থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেন—তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি (Sheikh Hasina Verdict)।
৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের অগাস্টে সরকার পতনের পর থেকেই ভারতে রয়েছেন। ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ‘উস্কানি’, ‘হত্যার নির্দেশ দেওয়া’ এবং ‘নৃশংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ’—এই তিন অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে রায় ঘোষণা, বাইরে উল্লাস
ঢাকার ভিড়ে ঠাসা আদালতে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার রায় পড়তে শুরু করতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিতরা। তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের সব মৌলিক উপাদানই এখানে প্রমাণিত হয়েছে।” এরপরই আদালত শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। রায়টি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় জাতীয় টেলিভিশনে—যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই রায়ের প্রেক্ষাপটে ফেব্রুয়ারি ২০২৬–এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।
‘ন্যায্য বিচার পাইনি’—হাসিনার অভিযোগ
রায় ঘোষণার আগে ও পরে প্রকাশিত বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হয়নি।” তাঁর কথায়, “এটি পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়।”
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার—যার জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই—তারা বেআইনি ট্রাইব্যুনাল বসিয়ে বিচার করছে। সঠিক, নিরপেক্ষ আদালতের সামনে দাঁড়াতে আমি ভয় পাই না। যেখানে প্রমাণ নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
ঢাকা আদালতের ঐতিহাসিক এই রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতি যে নতুন এক সংকটময় পর্বে প্রবেশ করেছে—এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর প্রতিবাদও নিশ্চিত ভাবেই হবে। সে ব্যাপারে এদিনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লিগের নেতারা। যার অর্থ পরিষ্কার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে ফের অস্থিরতা তৈরি হতে চলেছে।
পড়ুন শেখ হাসিনার সম্পূর্ণ বক্তব্যটা
তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সাজাকে প্রহসনের বিচার বলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা।
ট্রাইবুনাল তার বিরুদ্ধে মৌর্য অভিযোগের ভিত্তিতে ফাঁসি সাজা শুনিয়েছে তা হল, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পুলিশকে আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে তিনটি গুরুতর অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ট্রাইবুনাল ফাঁসি সাজা দেওয়ার পাশাপাশি যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ব্যাপারে এই ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়গুলি একটি সাজানো ট্রাইব্যুনালের দ্বারা প্রদান করা হয়েছে। যা একটি অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছে—যাদের কোনও গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট নেই। এরা পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মৃত্যুদণ্ডের অরুচিকর দাবিতে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরের উগ্রপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জ ও হত্যামুখী উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে—যারা বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিতে এবং আওয়ামী লিগকে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নির্মূল করতে চায়।