শোওকত মোল্লা
ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনে বেড়েই চলেছে গ্রেফতারের সংখ্যা। এই নিয়ে ভাঙড় খুনে গ্রেফতার বেড়ে দাঁড়ালো ৬। এদিকে ভাঙ্গড় তৃণমূল নেতা খুনে জাকির গাজী এবং রেজাউল মোল্লা গ্রেফতার হওয়ায় আইএসএফের যোগ পষ্ট হল দাবি শওকত মোল্লার।
তৃণমূল নেতা রজ্জাক খাঁ খুনে গ্রেফতার আরও ১ জন। বুধবার জাকির গাজি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর এই ঘটনার সঙ্গে নাকি জাকির গাজির যোগ রয়েছে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে বছর ৩৭ এর রফিকুল খান নামে আরও এক ব্যক্তিতে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গেছে রফিকুল চক মরিচার বাসিন্দা। রফিকুল খাঁয়ের শ্যালক আবুল কালাম মণ্ডল জানান তার বোনের বর রফিকুল খাঁ আইএসএফ পার্টির সক্রিয় কর্মী।
অন্যদিকে জাকির গাজিও নাকি আইএসএফ কর্মী। ফলে ভাঙ্গড় তৃণমূল নেতা খুনে জাকির গাজী এবং রেজাউল মোল্লা গ্রেপ্তার হওয়ায় আইএসএফের যোগ পষ্ট হল দাবি শওকত মোল্লার।শওকত মোল্লা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন তার কথা যে ঠিক এদের গ্রেফতারিতে তা প্রমাণ হল। কারণ তিনি দাবি করেন প্রথম থেকেই তিনি বলেছিলেন তৃণমূল নেতাকে আই এস এফ খুন করেছে।
রজ্জাক খাঁ খুনের তদন্তে নেমে প্রথমেই খুনের মাস্টারমাইন্ড তৃণমূল নেতা মোফাজ্জল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই একে একে গ্রেফতার করা হয় আজহারউদ্দিন মোল্লা, জাহান আলি খান ও রাজু মোল্লাকে। বাড়ি থেকে অদূরেই শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতা নয় বলেই দাবি করেন শওকত মোল্লা।
উল্লেখ্য দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে রাড়ির অদূরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাজ্জাক খাঁ। পুলিশ সূত্রে খবর প্রথমে পর পর তিনটি গুলি করা হয় রাজ্জাককে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই ৫ জন এবং পরে আরও ১ জনকে গ্রেফতার করা হলে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় শোওকত মোল্লার বক্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।