জগদীপ ধনখড়,ছবিঃইন্টারনেট
উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড়। স্বাস্থ্যের কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে এমনটাই জানিয়েছেন ধনখড়।
সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া জগদীপ ধনখড়ের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, "চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এবং শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমি দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। পাশাপাশি, তাঁকে সমর্থন এবং তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘মেয়াদকালে প্রধানমন্ত্রীর থেকে যে সহযোগীতা পেয়েছি এবং তিনি আমাকে যেভাবে সমর্থন করে গিয়েছেন, তা আজীবন মনে রাখব।"
২০২২ সালের অগস্টে উপরাষ্ট্রপতি মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু দিন বুকের ব্যাথা নিয়ে দিল্লি এইমসে বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন। ধু তাই নয়, গত মাসে কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
এদিকে সোমবার বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন রাজ্যসভার অধ্যক্ষের আসনে বসে কাজ করেছেন ধনকড়। কিন্তু রাতেই আচমকা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্র ধনখড়কে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল করে পাঠায়। তবে রাজ্যপাল থাকাকালীন বাংলার শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে সংঘাত বাধত তাঁর। এখন তাঁর জায়গায় কাকে উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক স্বল্পনা।