নীতীশ পড়ছেন মুকুট, প্রশান্ত চুপ!
বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, ‘হেরে চুপ হয়ে গিয়েছেন পিকে’। এই চুপ থাকা কিন্তু রূপক নয়, তিনি সত্যিই চুপ করে গিয়েছেন। মৌন ব্রত ধারণ করেছেন। বৃহস্পতিবার ভিটিহারওয়া গান্ধী আশ্রমে গিয়ে এক দিনব্যাপী নীরবতা পালন করলেন জন সুরাজ পার্টির সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। যেদিন তাঁরই এককালের অন্যতম ‘ক্লায়ান্ট’ নীতীশ কুমার বসলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। সেদিন দিনভর ‘মুখ ভার’ করে গান্ধী আশ্রমে বসে থাকলেন পিকে।
মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে এই মৌন ব্রত পালনের কথা জানিয়ে ছিলেন জন সুরাজ পার্টির সুপ্রিমো প্রশান্ত কিশোর। এমনকি, বিহারের দলের এই হারের সম্পূর্ণ দায় নিজের ঘাড়েই নিয়েছেন তিনি। পিকের কথায়, ‘আমাদের চেষ্টায় হয়তো কোনও ঘাটতি থেকে গিয়েছে। মানুষ যদি আমাদের গ্রহণে ইচ্ছুক না হয়, তা হলে তার দায়টাও আমাকেই নিতে হবে। তবে আমি এখনই পিছু হটছি না। আগের তিন বছর, আমি কি পরিশ্রম করেছি, তা সবাই জানে। এটাই শেষ নয়। আরও করব। নিজের সমস্ত শক্তি এই একটা কাজে নিযুক্ত করে দেব। বিহারের উন্নয়নের সংকল্প পূরণ না করা পর্যন্ত পিছু হটব না।’
পিকের মনের প্রদীপ এখনও যেমন জ্বলছে, তেমনই সামান্য হলেও জ্বলছে ক্ষোভের আঁচও। বিহারের মানুষ তাঁকে বোঝেনি বলেই মত। পিকের কথায়, ‘আমার মনে কথা বিহারবাসীকে বোঝাতে পারিনি। ওঁদের কেন আমাকে ভোট দেওয়া প্রয়োজন ছিল, কেনই বা একটা বিকল্প প্রশাসন প্রয়োজন, তা আমি বোঝাতে পারিনি। তাই বৃহস্পতিবার সারাদিন আমি মৌন ব্রত পালন করব।’
প্রসঙ্গত, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৫টি আসনের মধ্যে ২৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল জন সুরাজ পার্টি। তবে দলকে নামালেও প্রশান্ত কিশোর নিজে থেকেছেন আঁধারে। ভোট ঘোষণার পূর্বে তেজস্বীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুঁশিয়ারি দিলেও বাস্তবে কিছুই করেননি পিকে। কোনও আসন থেকেই দাঁড়াননি তিনি। তেমনই ভোটের অঙ্কে খাতাও খুলতে পারেননি পিকে।