হিমাচলে বন্যাদুর্গতদের নিজের কষ্টের কথা শোনালেন কঙ্গনা
হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিধ্বস্ত গ্রামে বন্যাদুর্গতদের (Flood Victims) সঙ্গে দেখা করলেন অভিনেত্রী-রাজনীতিক কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। বৃহস্পতিবার মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ (BJP MP) কঙ্গনা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন। আর সেখানেই নিজের রেস্তরাঁর ক্ষতির (Kangana Ranaut Cafe) কথা তুলে ধরলেন।
কঙ্গনার বক্তব্য, “গতকাল আমার রেস্তরাঁয় বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫০ টাকা। অথচ কর্মীদের মাইনে বাবদ দিতে হয় ১৫ লক্ষ টাকা। আপনারা আমার কষ্টও বুঝুন। আমিও তো হিমাচলের, এই জায়গারই বাসিন্দা।”
প্রচণ্ড বৃষ্টি, পাহাড়ি ধস আর বন্যায় জর্জরিত হিমাচলে শতাধিক পরিবার ঘরছাড়া। এই পরিস্থিতিতেই কঙ্গনা বৃহস্পতিবার সোলাং এবং পালচান এলাকায় যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা গোবিন্দ সিং ঠাকুর। স্থানীয়রা তাঁকে জানান, অন্তত ১৫ থেকে ১৬টি বাড়ি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে।
বাসিন্দারা কঙ্গনাকে আরও জানান, সোলাং গ্রাম এখন বড়সড় বিপদের মুখে। বিপাশা নদী ক্রমশ ভেঙে দিচ্ছে পাহাড়ের গা, যেখানে পুরো গ্রামটি রয়েছে। নদীর প্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়াই একমাত্র সমাধান বলে মত স্থানীয়দের।
এদিকে, হিমাচল আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবার বিলাসপুর, কাংরা, মান্ডি এবং সিরমাউরে প্রবল বৃষ্টি, বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। সিমলা, কাংরা, পালমপুর, মুরারি দেবী এবং সুন্দরনগরে মাঝারি থেকে প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রঝড় হয়েছে। তাবো ও বাজৌরায় ঘণ্টায় ৩৩-৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে দেখা গিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (SEOC) তথ্য বলছে, এ বছর বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। জুনের ২০ তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪১৯ জন। তার মধ্যে বৃষ্টি-জনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। এর মধ্যে ভূমিধসে প্রাণ গিয়েছে ৫২ জনের, খাদের ধারে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের, ডুবে গিয়েছেন ৪০ জন, মেঘভাঙায় মৃত্যু ১৭ জনের, আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। একই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৮২ জনের।