নভেম্বরেও পিছু ছাড়বে না বৃষ্টি?
এটা শীতের আগমনের বেলা। কিন্তু সে কি আসছে? নাকি তাঁর পরিবর্তে বাংলায় ‘হানা’ দেবে বৃষ্টিপাত? হাওয়া অফিস বলছে, এটাই ভবিতব্য।বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তুমুল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মূলত প্রভাব উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শুক্রবারও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। অর্থাৎ এই তিনদিন এই দুই জেলার মধ্য়েই ঘুরপাক খাবে কালো মেঘ। তবে শনিবার থেকে পরিস্থিতি হবে শান্ত। ফিরবে শুষ্ক আবহাওয়া।
এই সময়কালে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের বিশেষ সম্ভবনা নেই। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত দেখা যাবে উত্তরবঙ্গজুড়ে। সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তরের পার্বত্য জেলাগুলিতে। তবে মঙ্গলবার থেকে আর বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই।
আজ অর্থাৎ সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পে পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭৪ থেকে ৯০ শতাংশ।
তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবত
ইতিমধ্য়েই পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং মায়ানমার উপকূলের কাছে তৈরি হয়ে নিম্নচাপ। যা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। ফলত, আগাম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা। যা প্রভাব খানিকটা হলেও পড়তে পারে বাংলার উপরেও। এছাড়াও মধ্য বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব অসমে তৈরি হতে পারে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় যাওয়া ভারতীয় মৎসজীবীদের সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।