লখনউয়ের রন্ধনশিল্প পেল ইউনেস্কোর স্বীকৃতি!
ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে গড়া শহর লখনউ এবার পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ইউনেস্কো বিশ্বের ৫৮টি শহরকে ‘সৃজনশীল শহর’ (Creative Cities Network)-এর তকমা দিয়েছে। তার মধ্যেই ‘উত্তম ভোজনবিলাসের সৃজনশীল শহর’-এর খেতাব পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ।
এই স্বীকৃতিতে খুশির হাওয়া উত্তরপ্রদেশজুড়ে। উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের মুখেও এখন গর্বের সুর।
‘ইউনাইটেড নেশন অফ ইন্ডিয়া’র এক পোস্টে বলা হয়েছে, “জিভে জল আনা গালৌটি কাবাব থেকে শুরু করে আওয়াধি বিরিয়ানি, চাট-গোলগাপ্পে, মাখন মালাইয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, লখনউ সত্যিই খাবারের স্বর্গরাজ্য। শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্যে ভর করে শহরটি আজও তার রন্ধনশৈলীতে সমৃদ্ধ।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ লিখেছেন, “লখনউ মানেই প্রাণবন্ত পরিবেশ। আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক অনন্য রন্ধন ঐতিহ্য। আমি আনন্দিত যে ইউনেস্কো লখনউয়ের এই গৌরবময় দিকটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
উত্তরপ্রদেশের পরিবহণ ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং এই সাফল্যে মন্তব্য করেছেন, “রন্ধন সম্পর্কিত পর্যটন বহু প্রজন্ম ধরে উত্তরপ্রদেশে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে। আগামিদিনেও এই অঞ্চলই নেতৃত্ব দেবে। বিকশিত উত্তরপ্রদেশ গড়ার পথে এই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দূরদর্শী নেতৃত্বেই রাজ্য আজ ভারতের গর্ব হয়ে উঠছে।”
লখনউয়ের খাবার সংস্কৃতি নিয়ে দেশজুড়ে আগে থেকেই ছিল গর্ব, এবার সেই ঐতিহ্যই পেল বিশ্বের দরবারে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।