তৃণমূল সাংসদকে তুলোধনা শুভেন্দুর
কয়েকদিন আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) মধ্যে চলেছিল কথার লড়াই, চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জের দাপট। এবার সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের বিস্ফোরক অভিযোগ, শুভেন্দুই নাকি “পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ”। একেবারে সোজাসাপটা ভাষায় তিনি বলেন, “ও এখনও পর্যন্ত আমার দয়ায় গ্রেফতার হয়নি। ফালতু একটা লোক ও। যত দাগি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ঢুকিয়েছিল, ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই সব নাম আপনাদের সামনে দেব। এত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে আর নেই। সব প্রমাণ দেখাব।”
শুভেন্দু অবশ্য এসব মন্তব্যে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বরং পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “উনি মদ্যপ। উনি যেভাবে কথা বলেন, যে ভঙ্গি ও ভাষা ব্যবহার করেন, তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।”
এদিকে, এর মধ্যেই তৃণমূলের অন্দরেও চলেছে চাপা অস্বস্তি। কিছুদিন আগেই মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশ্য বিবাদে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। যদিও আপাতত সেই রেশ কমেছে, কিন্তু শুভেন্দু এবার সেটাকেই টেনে এনে নতুন খোঁচা দিলেন।
তাঁর কটাক্ষ— “কল্যাণবাবুর কথার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন তৃণমূলের দুই নেতা— মহুয়া মৈত্র আর কাঞ্চন মল্লিক। ওঁরা দু’জনেই জানেন উনি কী বলেন, কেন বলেন।” এই ইঙ্গিত যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তৃণমূলের অন্দরে তো বটেই, রাজ্য-রাজনীতির সকলেই জানেন, মহুয়া মৈত্র বা কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে খুব একটা মধুর সম্পর্ক নেই কল্যাণের। কথা, পাল্টা কথা, তির্যক মন্তব্য, বেশ কিছু সময় তা প্রকাশ্যেও এসেছে।