২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বড়সড় অমিল ৬ জেলায়
আসন্ন বিধানসভা ভোটের (2026 WB Election) আগে বাংলায় চলছে ‘ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিং’-এর (Mapping and Matching) কাজ। আর সেই কাজ করতে গিয়েই সামনে আসছে বড়সড় অমিল। তবে খতিয়ে দেখলে, তাতে এই মুহূর্তে ভয়ের কোনও কারণ নেই।
কিছুদিন আগে দিল্লি থেকে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কর্তারা বাংলার জেলাশাসকদের (ডিএম) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ভোটার তালিকার ‘ম্যাপিং ও ম্যাচিং’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা। এই প্রক্রিয়া আপাতত সম্পূর্ণ করতে পেরেছে মাত্র ছ'টি জেলা এবং উত্তর কলকাতা। আর তাতেই দেখা গেছে, বহু নাম ম্যাচিং হচ্ছে না।
‘ম্যাপিং ও ম্যাচিং’ বলতে বোঝানো হচ্ছে এক সেটের ডেটা অন্য সেটের সঙ্গে মিলিয়ে সংযোগ স্থাপন। ভোটার তালিকার ক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে এ বছরের তালিকাকে মিলিয়ে দেখাই এই প্রক্রিয়ার মূল কাজ।
রাজ্যের এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে এ বছরের ভোটারদের নাম মিলিয়ে দেখা। কিন্তু সাতটি জেলায় এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে দেখা গেছে, গড়ে মোটামুটি ৫০ শতাংশ নাম সফলভাবে মিলেছে। বাকিটা অসঙ্গতি।
তবে সরকারি সূত্রের খবর, এই অমিল রয়েছে বা মিলছে না মানেই এই নয় যে, তালিকা থেকে কারও নাম বাদ চলে গেছে। কারণ এমন হতে পারে, ২০০২ সালের শেষ রিভিশনের সময়ে অনেকে উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁদের নাম ওঠেনি। ফলে সেই সব ভোটারকে বা তাঁদের পরিবারের নথি দেখাতে হবে, যার ভিত্তিতে নাম তালিকায় যুক্ত হবে।
আবার, স্বাভাবিকভাবেই ২০০২ সালের পরে অনেক নতুন ভোটারও যুক্ত হয়েছেন রাজ্যে। তাঁরা পুরনো তালিকায় ছিলেন না। তাঁদের পরিবারের কারও নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেই তাঁদের নাম উঠে যাবে নতুন তালিকায়। ভয়ের কোনও কারণ নেই। এছাড়া, বহু পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাঁদের নাম থেকে গেছে, কিন্তু নতুন তালিকায় মিলছে না।
সিইও অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ছ'টি জেলা ও উত্তর কলকাতার ম্যাপিং ও ম্যাচিং প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তার অবস্থা এরকম:
- ঝাড়গ্রামে ম্যাচ করেছে: ৫১.৩৬%
- মেদিনীপুরে ম্যাচ করেছে: ৬২.৯৪%
- কালিম্পঙে ম্যাচ করেছে: ৬৫.২৭%
- আলিপুরদুয়ারে ম্যাচ করেছে: ৫৩.৭৩%
- পুরুলিয়ায় ম্যাচ করেছে: ৬১.২৯%
- মালদহে ম্যাচ করেছে: ৫৪.৪৯%
- কলকাতা নর্থে ম্যাচ করেছে: ৫৫.৩৫%
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো বড় বড় জেলা-সহ বহু জেলায় এখনও এই প্রক্রিয়া শেষই হয়নি। সিইও অফিস তাদের দ্রুত ম্যাপিং ও ম্যাচিং শেষ করার জন্য রিমাইন্ডার পাঠিয়েছে।