ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত কমপক্ষে ২৭ |
ফের প্রসূতি মৃত্যুতে 'ভুল চিকিৎসার অভিযোগ', শোড়গোড় কোচবিহারে
নার্সিং হোমে উত্তেজনা
ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের নার্সিংহোম চত্বর। কোচবিহার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নার্সিংহোমের সামনে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। মৃত সম্পি দাস বর্মন (২৩) মারুগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে প্রসব বেদনা নিয়ে সম্পি দাস বর্মনকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করে পরিবার। বিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। অভিযোগ, অস্ত্রোপচার হয়। এক কন্যা সন্তানের জন্মও দেন ওই প্রসূতি। এরপর হঠাৎ করেই প্রসূতীর শারিরীক অবস্থা অবনতি হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেয়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে কোচবিহার শহরের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর পাওয়ার পরই রোগীর পরিজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
মৃতদেহ পুনরায় প্রথম নার্সিংহোমের সামনে নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পরিবার। মৃতার স্বামী দেবব্রত বর্মনের অভিযোগ , অস্ত্রোপচার চলাকালীন হঠাৎ করেই তাদের সব টাকা মেটাতে বলা হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য ৪৫ হাজার টাকা এবং দুই ইউনিট রক্তের জন্য ২০ হাজার টাকা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। এরপর রোগীর অবস্থা খারাপ বলে অন্যত্র রেফার করা হয় এবং সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে সম্পি দাসের চিকিৎসক অমিত শ্রীবাস্তবের অধীনে। চিকিৎসক অমিত শ্রীবাস্তব অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রক্তের জন্য পৃথকভাবে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগটিও তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে ওই প্রসূতীর মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়েও তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ জানিয়েছে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।