মমতার পুলিশের প্রশ্রয়, অস্ত্র-সহ ধরা পড়লেও তৃণমূল কাউন্সিলকে ছেড়ে দেওয়া হয়: শুভেন্দু
প্রশাসন তো মমতার নির্দেশেই চলে:শুভেন্দু
কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) অস্ত্র-সহ ধরা পড়েছেন তৃণমূলের এক কাউন্সিলর (TMC Councilor)। অভিযোগ, তারপরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সোমবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মমতা পুলিশ’’-এর প্রশ্রয়েই তৃণমূল নেতারা (TMC) আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন।
বিরোধী দলনেতা এক্স-এ লেখেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালী পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিরুল ইসলামকে রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করে সিআইএসএফ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। নিয়ম মেনে তাঁকে বিমানবন্দর থানায় (বিধাননগর কমিশনারেট) হস্তান্তর করা হলেও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর।
তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কী পরিকল্পনা ছিল আমিরুলের? রাজ্যের বাইরে অস্ত্র পাচার? নাকি বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা? যে নেতা নিজের ঊর্ধ্বতনদের মতোই ভাবলেন চোরাচালান হোক বা অস্ত্রপাচার, কোনও ক্ষতি হবে না, কারণ প্রশাসন তো মমতার নির্দেশেই চলে!’’
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, রাজ্যে তৃণমূল নেতারা এখন চরম বেপরোয়া। ‘‘চাঁদাবাজি, দেহরক্ষী বাহিনী দিয়ে দাপট, সোনা পাচার, অস্ত্র পাচার সবই চলছে খোলাখুলি। পুলিশ রাজনৈতিক চাপে নতিস্বীকার করে হাত গুটিয়ে বসে আছে।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার, উপরে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কাজ করেন। তাই এত বড় অপরাধেও অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে ছেড়ে দেওয়া হল।’’
ঘটনার সঠিক চিত্র জনসমক্ষে আনার দাবি করেছেন শুভেন্দু। টুইটে তাঁর আবেদন, সিআইএসএফ যেন গ্রেফতারের ফুটেজ প্রকাশ করে। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনকে অনুরোধ করেছেন, কেন্দ্র যেন রাজ্য সরকারের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করে।
জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ আমিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে পৌঁছন। মুম্বইয়ের বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। সিকিউরিটি চেকইনের সময় ধরা পড়ে আমিরুলের কাছে থাকা বন্দুক এবং কার্তুজ। এই কার্তুজ এবং বন্দুকের বৈধ নথি দেখাতে পারেননি কাউন্সিলর।