বীরভূম সফরে মমতা
আগামী ২৮ জুলাই বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইলামবাজারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ-সহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের (Birbhum Visit) পাশাপাশি ‘বাঙালি পরিচয়ের উপর আক্রমণ’ (Bengali Identity, Bangla Language) ইস্যুতে একটি প্রতিবাদ মিছিলেও হাঁটার কথা রয়েছে তাঁর। তৃণমূল নেত্রী এই সফরে প্রশাসনিক বৈঠকেও অংশ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ (Kajal Sheikh) জানিয়েছেন, “ইলামবাজার থেকে পশ্চিম বর্ধমান যাওয়ার সেতুর শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন তিনি।"
এর পর ২৮ বা ২৯ তারিখ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করার প্রতিবাদে এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির অবমাননার বিরুদ্ধে বীরভূমে পদযাত্রা হওয়ার কথা। কাজল জানিয়েছেন, ওই মিছিলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশে জুলাইয়ের আগের দিন ধর্মতলায় শহিদ মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রবেশ আটকে দিয়েছিল পুলিশ। পরের দিন শহিদ মঞ্চেও দেখা যায়নি তাঁকে। অনুব্রত নিজে শহিদ মঞ্চে গিয়েছিলাম' বলে দাবি করলেও সেদিন কাজল দাবি করেছিলেন, কেষ্ট মণ্ডলকে শহিদ মঞ্চের আশেপাশে কোথাও দেখা যায়নি।
সম্প্রতি বোলপুরের আইসিকে হুমকি ও তাঁর মা, স্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পর থেকে অনুব্রতর ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সেকারণেই একুশে জুলাইয়ের আগের দিন কেষ্ট মণ্ডলকে মঞ্চের আশেপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি।
এই প্রেক্ষিতে অনুব্রতর রাজনৈতিক গুরুত্ব কিছুটা কমে আসা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই আলোচনা চলছে। এখন তিনি শুধুমাত্র জেলা কোর কমিটির সদস্য। এবারের সফরে মমতা তাঁর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট
নয়। তবে এ ব্যাপারে কাজল কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বরং প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেছেন, “মমতা আসছেন শুনেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। বোলপুরে মানুষের মাথা ছাড়া কিছুই দেখা যাবে না।”