মাদারিহাটের ঘটনাকে 'দাদাগিরি' মানতে নারাজ মনোজ টিগ্গা
মাদারিহাটের (Madarihat) বিডিও-র সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga)। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। তা দেখে সকলের মনেই এক প্রশ্ন - কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ত্রাণ বিতরণ ইস্যুতে বিডিও-র সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। তবে বিজেপি সাংসদের রাগ শুধু বিডিও-র ওপর নয়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ওপরই।
ভাইরাল ভিডিও ইস্যুতে বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দ্য ওয়াল। তিনি বলেন, ''তৃণমূলের শাসনে সব সরকারি আধিকারিক - বিডিও, জেলাশাসক দলদাসে পরিণত হয়েছে। সবসময়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে তারা ন্যূনতম সম্মান দেন না। ত্রাণ দেওয়ার হলেও কোনও জনপ্রতিনিধি নয়, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মিলে বিডিও-রা ত্রাণ বিলি করছে। কিন্তু বিজেপি করেন বলে যারা পরিচিত তারা ত্রাণ পান না।''
এ ক্ষেত্রে 'সুদর্শন চক্রের' কথা তোলেন তিনি! মনোজের হুঙ্কার, বিডিও তৃণমূলের সঙ্গে মিলে দুর্নীতি করছেন, সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন - এগুলি কিছু নয়। আর বিজেপি এর বিরোধিতা করলেই সেটাকে হুমকি বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি ভদ্র ভাষা না বোঝে তাহলে 'সুদর্শন চক্র' চালাতেই হবে। বিডিও যে দাদাগিরি করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে সেটাকে নস্যাৎ করে মনোজ বলেন - আট বছর বিধানসভায় ছিলেন। এমন আচরণ কোনও দিন করিনি।
ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ত্রাণ বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ থেকে শুরু হয় বিবাদ, যা মুহূর্তে রূপ নেয় হম্বিতম্বি, তর্ক, শাসানিতে। সাংসদের এই ‘দাদাগিরি’ ঘিরে নানামহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রশাসনিক দফতরের মধ্যেই সাংসদের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া মেলেনি, তবে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। কিন্তু মনোজের সাফ কথা, বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের জন্য বসার জায়গা পর্যন্ত থাকে না, কোনও ব্যবস্থা করা হয় না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় না অনেককে কারণ তারা বিজেপি করেন। এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, ব্লক অফিসকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত করা হয়েছে। অফিসে ঢুকলে দেখা যায় বিডিও-রা শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে আড্ডা মারছেন। বিডিও-র চেয়ারের পাশেই চেয়ার পেতে বসেন তারা। এদিকে মানুষের প্রাপ্য অধিকারকে বঞ্চিত করা হয়। ত্রাণ সহ বাকি সুযোগ-সুবিধা কেউই কিছু পান না, তৃণমূলের নেতারাই সব নিয়ে নেন।