উত্তর প্রদেশে জাতের নামে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ, জাত পরিচয় উল্লেখ করা যাবে না সরকারি নথিপত্রে
উত্তর প্রদেশে জাতের নামে মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ
জাত পরিচয় (Caste identity) জাহির করে মিটিং মিছিল করা যাবে না (No rally under the banner of any caste)। এফআইআর-সহ থানা-পুলিশ, আইন-আদালতের নথিপত্রেও জাত পরিচয় উল্লেখ করা যাবে না (no mention of caste in FIR, court paper, petetion, ldgal proceedings etc) । সোমবার এই নির্দেশ জারি করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব৷ তার আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তর প্রদেশ মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
গত মাসে এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক মামলায় সরকারি নথিপত্রে জাতের উল্লেখকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে রায় দেয়। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, সংবিধান সলকের সমানাধিকারের কথা বলেছে। জাত কোনও ব্যক্তির পরিচয় হতে না। নাম-ঠিকানা এবং বাবা-মায়ের নাম পরিচয়ই যথেষ্ট। আলাদা করে জাতের উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন।
আদালত বলেছে, পুলিশের কাছে অপরাধ নথিভুক্ত করা, আাদালতে মামলা করার সময় অভিযোগকারী নিজের এবং অভিযুক্তের জাত পরিচয় উল্লেখ করতে পারবেন বা।
মুখ্য সচিবের জারি করা নির্দেশিকায় অবশ্য বলা হয়েছে তফসিলি জাতি, উপজাতিরা তাদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গিয়ে জাত পরিচয় উল্লেখ করতে পারবেন।
আদালত বলেছিল, জাত পরিচয় উল্লেখ করায় সমাজে জাতপাতের সংঘাত থামছে না। তাছাড়া পরিচয় হিসাবে জাতের উল্লেখ সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী।
আদালত বললেও যোগী সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন সরকারের উচিত ছিল আদালতের কাছে বাস্তব পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা। জাত পরিচয়ের উল্লেখ বাদ দিয়ে শাসন প্রশাসন পরিচালনা বাস্তবসম্মত নয়। নাগরিকদের কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতি সংশাপত্র আছে। তারা জাত পরিচয় উল্লেখ করলে তা আইন বা সংবিধান বিরুদ্ধ হতে পারে না। তাছাড়া জাতপাতের বঞ্চনাও সমানতালে আছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এটা বাস্তবসম্মত নয়। হাজার হাজার বছরের প্রচলিত ব্যবস্থা একটা নির্দেশিকা জারি করে বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়।