নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী আসছেন শিল্প শহর দুর্গাপুরে। কিন্তু দলীয় প্রচার নেই সে ভাবে। সেই কোনো মিটিং, মিছিল, পথ সভা। এক কথায় সার্বিক প্রচারে খামতি দেখা দিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আসার খবর বাড়ি গিয়ে যানাচ্ছেন বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোরুই ও বিজেপির রাজ্য সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার শহরের গোপালমাঠ এলাকায় আমন্ত্রণপত্র বিলি করতে দেখা গেল বিজেপি নেতৃত্বদের। কিন্তু এভাবে কত লোককে টেনে আনা যাবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুরে আসছেন শুক্রবার। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব সভাস্থল পরিদর্শন কিংবা ঘরোয়া বৈঠক করতেই ব্যস্ত। দলের জেলার নেতারা ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন নেতারা। বিভিন্ন জায়গায়। বিভিন্ন মহল্লায়। বুধবার যেমন প্রায় জনা তিরিশের বাড়িতে দেওয়া হয় আমন্ত্রণপত্র। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্গাপুরে আসছেন এটাই মানুষের কাছে বড় চমক। আমরা সেই জন্য গোপাল মাঠের মানুষকে সভায় যাওয়ার আহ্বান জানালাম।” কর্মীরাও নেতৃত্বের সঙ্গে থেকে ভিড় বাড়াচ্ছেন নেহরু স্টেডিয়ামে। কিন্তু দুর্গাপুর জুড়ে এই ‘মেগা ইভেন্ট’-এর প্রচারে ব্যর্থ বিজেপি। মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ জানছে প্রধানমন্ত্রী আসছেন দুর্গাপুরে। কিন্তু কোথায় বা কখন সেই প্রচার নেই। অভিযোগ উড়িয়ে লক্ষণ ঘড়ই বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই বড় কর্মসূচি হচ্ছে। তাই বৃহৎ আকারে প্রচার হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার থেকে তিন-চারটে জেলা জুড়ে প্রচার শুরু হবে।”
উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রশাসন ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প, ডিভিসির রঘুনাথপুর ও মেজিয়া কারখানার সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেলের আসানসোল কলকাতা গ্যাস পাইপ লাইন, দক্ষিণবঙ্গের ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস প্রকল্প, জাতীয় সড়কের বেশ কিছু আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ, ডিএসপির আধুনিকীকরণের সূচনা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সভা মঞ্চের পাশেই এই প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করে তিনি জনসভায় অংশ নেবেন। সভাশেষে নেহরু স্টেডিয়ামের পাশেই অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট স্টেডিয়ামে তৈরি হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন অণ্ডাল বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই দিল্লি পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দুর্গাপুর সফর নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব দফায় দফায় বৈঠক করছেন। আজ, বৃহস্পতিবার দিনভর প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নিয়ে দুর্গাপুরে সভাস্থল পরিদর্শন-সহ কর্মী ও নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।