‘মোদীর হনুমান’ চিরাগ পাসোয়ান
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ‘মোদীর হনুমান’ চিরাগ পাসোয়ান কি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লোক জনশক্তি পার্টির (রামবিলাস) নেতা চিরাগের দল বিহার বিধানসভা ভোটে অভূতপূর্ব ফল করেছে। ২০২০ সালের একটি আসন থেকে এবার চতুর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা পেতে চলেছে এলজেপি। শুধু তাই নয়, শাসক জোটের অভ্যন্তরে তাঁর দলই তৃতীয় বড় দলের মর্যাদা পাচ্ছে। এই অবস্থায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, চিরাগ কি দিল্লির রাজনীতি ছেড়ে পাটলিপুত্রের জোট সংসার সামলাতে চলে আসবেন?
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে চিরাগকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করবেন? তার জবাবে তিনি বলেছিলেন, এনডিএ যদি জেতে তাহলে তাঁর দল উপমুখ্যমন্ত্রী পদ চাইতে পারে। এই ভোটে চিরাগের দল আসন সমঝোতায় ২৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে বিকেল চারটে পর্যন্ত ২৩টিতে জেতার অবস্থায় রয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পরই ছবিটি পরিষ্কার হবে।
চিরাগ আরও বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি সবসময় আমার স্ট্রাইক রেট ১০০ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। এবারেও আমি তাই আশা করি। আমার বিশ্বাস, জোটের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকা উচিত। কেউ যদি ভাল ফল করে, তাহলে তাঁকে নিশ্চই পুরস্কার দেওয়া উচিত। তবে তিনি একথাও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাকে কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করছি কী করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রককে আরও মজবুত করা যায়। একথাও ঠিক যে, আমি নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিতে চাই না। কিন্তু আমাদের দলের কারও নিশ্চই পাওয়া উচিত।
২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল লোক জনশক্তি পার্টির। শুরুতে এনডিএতে থাকলেও গোধরা দাঙ্গার পর জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন দল। ইউপিএতে আসার পর রামবিলাস পাসোয়ান বেশ কয়েকবার মন্ত্রী হন। ২০১৪ সালে এলজেপি ফের এনডিএ জোটে যোগ দেয়। পাসোয়ান ফের নরেন্দ্র মোদীর ক্যাবিনেটে চলে আসেন। রামবিলাসের মৃত্যুর পর ছেলে চিরাগের সঙ্গে কাকা পশুপতিকুমার পরসের ঝামেলায় দল ভেঙে যায়। ২০২১ সালের জুন মাসে চিরাগ রামবিলাস পন্থী দলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে চিরাগ ও তাঁর দল লোকসভার পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করে এনডিএ-র কাছাকাছি চলে আসেন।