কলকাতাকে জঞ্জালমুক্ত করতে গানের ডাক
শহর কলকাতাকে (Kolkata) আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে (Kolkata garbage-free) এবার নতুন পথে হাঁটল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)।
দৈনন্দিন বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট বিনে ফেলার অভ্যাস তৈরি করতে সাধারণ মানুষকে গানের মাধ্যমে সচেতন করার উদ্যোগ নিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। শহরের প্রতিটি ব্যাটারি-চালিত বর্জ্য সংগ্রহের গাড়িতে বাজবে বিশেষভাবে তৈরি সচেতনতামূলক গান (Song)। গানের সুরে সুর মিলিয়ে মানুষকে বর্জ্য সঠিকভাবে ফেলার অনুরোধ— এমনই অভিনব ভাবনায় পরিষেবা আরও কার্যকর করতে চাইছে পুরসভা।
এদিন এই গানের এবং কর্মসূচির শুভ সূচনা করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র জানান, প্রতিদিনের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে রাখলে শহরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়, তেমনই বাড়ে রোগবালাই। তাই মানুষকে অংশীদার করেই এই উদ্যোগকে সফল করতে চায় পুরসভা। তাঁর কথায়, “গান মানুষের মনে সহজেই পৌঁছয়। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বার্তা সুরের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌঁছতে চাই আমরা।”
শুধু বর্জ্য সংগ্রহ নয়, কঠিন বর্জ্য আলাদা করার ক্ষেত্রেও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা। ফিরহাদ হাকিম জানান, কঠিন বর্জ্যকে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিশেষ রিসাইক্লিং প্লান্ট গড়ে তোলা হয়েছে। ই-ওয়েস্ট, প্লাস্টিক, ধাতব দ্রব্য, পচনশীল বর্জ্য— সবকিছুকে আলাদা করে আলাদাভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা এবং সম্পদের পুনর্ব্যবহার— দুই দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগে।
কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই অগ্রগতির মাঝেই এক উদ্বেগজনক তথ্যও তুলে ধরেছেন মেয়র। তিনি স্বীকার করেন, এখনও কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন ওয়েটল্যান্ডে অবৈধভাবে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বহু জায়গায় গোপনে পুকুর ভরাটও চলছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক।
মেয়র জানান, পুরসভা ও পুলিশ যৌথভাবে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড রোখার চেষ্টা করছে। তাঁর কথায়, “ওয়েটল্যান্ড ভরাট হলে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। তাই এই চোরা কাজ যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”