শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে উঠছে ডায়মন্ড হারবার মডেলের দাবি
নন্দীগ্রাম চলতে চায় অভিষেকের মডেলে। যে মডেল ‘বদলে দিয়েছে’ ডায়মণ্ড হারবারকে। সেই মডেল চায় নন্দীগ্রামবাসীদের একাংশ। এই নন্দীগ্রাম যে রাজনৈতিক মহলে ‘শুভেন্দু-গড়’ বলে পরিচিত তা বলা বাহুল্য। এমনকি, একুশের নির্বাচনেও এই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই নন্দীগ্রাম আহ্বান দিচ্ছে অভিষেককে। রাজনীতির আঙিনায় এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। তা হলে কি ছাব্বিশে বদলে যেতে পারে পরিচিত ‘শুভেন্দু-গড়ের’ রাজনৈতিক সমীকরণ?
তৃণমূল কর্মীরা চান, নন্দীগ্রামে আসুক ডায়মন্ড হারবার মডেল। ঠিক যে ভাবে ডায়মন্ড হারবারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিবির, বার্ধক্য ভাতা-সহ একাধিক উন্নয়ন মূলক প্রকল্প চালু করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ঠিক সেই ভাবেই ওই একই মডেলে চালানো হোক নন্দীগ্রামকেও। আর শুধু শাসক শিবির নয়, তাঁদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে সাধারণ মানুষও। প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব ঘোঁচানোর দাবি জানিয়েছে তাঁরা।
এদিন কেরলে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে রামপদ বারিক বলেন, ‘আমার পরিবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার বাবা যখন ভিন রাজ্যে মারা গেলেন, সেই সময় আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছেন তিনি। আমরা চাই, উনি যেমন ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্য শিবির খুলেছেন, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও কোনও উদ্যোগে নিক।’ আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুভেন্দু বাবু বিধায়ক হয়েছেন। এত বছর ধরে রয়েছেন। কিন্তু উনি নিজের কেন্দ্রেই আসেন অতিথির মতো।’ কেরলে মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের কথা টেনেই এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘এখানে বিধায়ক বিজেপি, সাংসদ বিজেপির। এদিকে যখন ভিন রাজ্যে গিয়ে একজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেল, তখন দেহ আনা থেকে শুরু করে সমস্ত রকমের দায়িত্ব পালন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমাদের একটাই আবেদন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের নেতা হয়ে এটিকেও ডায়মণ্ড হারবারের মতো করে তুলুক।’