৯০ হাজারে সদ্যোজাত কিনে ৩৫ লাখে বিক্রি
তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের এক ফার্টিলিটি ক্লিনিকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাতৃত্ব সৃষ্টিতে এক বিশাল জাল-জুয়াচুরির হদিশ মিলল। একটি সদ্যোজাতকে ৯০,০০০ টাকায় কিনে আইভিএফ শিশু হিসেবে ৩৫ লক্ষ টাকায় বিক্রির চক্রকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ওই বেসরকারি ক্লিনিকই ভুয়ো কাগজপত্র ও তথ্য তৈরি করে বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে এসেছে বলে পুলিশের অভিযোগ। ২০২৪ সালে ওই সদ্যোজাতকে একটি গরিব পরিবারে কাছ থেকে শহরেরই একটি দম্পতিকে আইভিএফ চিকিৎসার সন্তান বলে লাখ লাখ টাকায় বেচে দেওয়া হয়।
ক্লিনিক থেকে ওই দম্পতিকে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, তাঁরা নিজেরা সন্তান ধারণ না করে আইভিএফ পদ্ধতিতে বিকল্প মায়ের মাধ্যমে জরায়ু ভাড়া করে পিতৃত্ব-মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পারেন। যেখানে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু দুটোই তাঁদেরই থাকবে। অর্থাৎ বংশপরিচয় তাঁদেরই থাকবে। এই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য দম্পতির কাছে ৩৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজ ধরা হয়।
রবিবার হায়দরাবাদ পুলিশ এই চক্রের জড়িত সন্দেহে ইউনিভার্সাল সৃষ্টি ফার্টিলিটি সেন্টারে মূল অভিযুক্ত ডাঃ আতালুরি নম্রতা (৬৪), ডাঃ নার্গুলা সদানন্দম (৪১) সরকারি গান্ধী হাসপাতালের এক অ্যানেসথেসিস্ট এবং দালাল ও টেকনিশিয়ান সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং শিশুবিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রের লাইসেন্স ২০২১ সালেই বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু ডাঃ নম্রতা এটি বেআইনিভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এই মহিলার হায়দরাবাদের কোন্ডাপুর, বিজয়ওয়াড়া এবং বিশাখাপত্তনমেও ফার্টিলিটি সেন্টার চলে। একসঙ্গে সব কেন্দ্রগুলিতে পুলিশ রবিবার অভিযান চালিয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, শেষ ঘটনাটি শৈলশিখরের চূড়া মাত্র। তদন্তে একের পর এক জুয়াচুরির ঘটনা বেরিয়ে আসবে। পুলিশ এই কেন্দ্র এবং এর শাখাগুলি থেকে যাঁরা সন্তানলাভ করেছেন, তাঁদের কাছেও খোঁজ নেবে।
এর আগে ২০১৬ সালে এক অনাবাসী দম্পতি অভিযোগ করেন, আইভিএফ পদ্ধতি জরায়ু ভাড়া করে যে সন্তান তাঁদের দেওয়া হয়েছে সেটি আদৌ তাঁদের বীর্যজাত নয়। সেই অপরাধে তেলঙ্গানা মেডিক্যাল কাউন্সিল ডাঃ নম্রতার সেন্টারের লাইসেন্স পাঁচবছরের জন্য বাতিল করে দিয়েছিল। তারপর ২০২০ সালে বিশাখাপত্তনম পুলিশ নম্রতা ও পাঁচজনকে সদ্যোজাত পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল।
শহরের পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নম্রতা এবং তাঁর কর্মীরা গরিব গর্ভবতী মহিলাদের কাছে গিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাচ্চা কিনে এনে তাঁদের ক্লিনিকে আসা %E