ত্বকে বয়সের ছাপ? শুধু দামি ক্রিম মাখলেই কাজ হবে না, বদলাতে হবে লাইফস্টাইল |
'ক্ষমতায় এলে রাজ্যের কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, উল্টে বাড়বে', আশ্বাস অমিত শাহর
কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, উল্টে বাড়বে', আশ্বাস অমিত শাহর
মহিলা ভোট টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মাস্টারস্ট্রোক বলা হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhander) প্রকল্পকে। ২০২১ সালে বাংলার মেয়েদের জন্য এই প্রকল্প শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অনেকেই মনে করেন, এই প্রকল্পই মহিলা ভোটারদের টেনেছে ঘাসফুলের দিকে। রাজ্যের ক্ষমতায় যদি বিজেপি (BJP) আসে, তাহলে কি সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, "ক্ষমতায় এলে রাজ্যের কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, উল্টে বাড়বে।"
পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government) এখন অনেকগুলি জনকল্যাণমূলক (WB Scheme) প্রকল্প চালায়। আর বাংলায় বিজেপি সরকার (BJP) এলেই নাকি সেই সব স্কিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যদিও তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে শাহ জানালেন, "এটা ভুল ধারণা। আমি এখানে বলতে চাই, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরির পর একটাও স্কিম বন্ধ হবে না। শুধু তাই নয়, আমাদের ঘোষণাপত্রে যা যা স্কিম থাকবে, সেটাও বাস্তব হবে। এটা আমাদের রেকর্ড (Lakshmir Bhander)।"
এদিকে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর অভিযোগ, দেশের প্রায় সব রাজ্যেই আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে তার বদলে চালু রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী— যা তাঁর মতে আরও দুর্বল একটি প্রকল্প। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে শাহ বলেন, “বাংলার মানুষ কি ভিনরাজ্যে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) সুবিধা পাবেন?”
শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, দেশের অন্যান্য রাজ্য আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় ৫ লক্ষ টাকার বিমা কভারেজের সঙ্গে নিজেদের তহবিল থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধাও যোগ করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেই রকম কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি (Mamata Banerjee)।
বস্তুত,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দাবি করেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প অন্য রাজ্যগুলিও অনুসরণ করছে। অনেক অর্থনীতিবিদ অবশ্য মেয়েদের হাতে এই টাকা দেওয়াকে ‘অপচয়’ বলতে রাজি নন। মেয়েদের, বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক মেয়েদের হাতে নগদ টাকা থাকলে তা সংসার ও সন্তানের কাজেই লাগে। বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারও নগদ পাওয়ার এই প্রকল্পে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তিকে সক্ষমতার একটি সূচক বলেই দেখে।