মানুষের পাশে থাকার বার্তা সিপিএমের
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভয়াবহ বন্যা (Floods)। জলস্রোতে ভেসে গেছে ঘর, গাছ, পশু, চাষ, হারিয়ে গেছে অসংখ্য জীবন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে বন্যাত্রাণে মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন জানিয়ে পথে নামল সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি (CPIM)। নেতৃত্বে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)।
তাঁর অভিযোগ, “পর্যাপ্ত পূর্বাভাস ছিল, সতর্কতা ছিল-শুধু প্রস্তুতি ছিল না। প্রশাসনের গাফিলতির দায় কেউ নিচ্ছে না। পাহাড় কেটে, নদীতে বাঁধ দিয়ে, জঙ্গল গিলে, জলাশয় বুজিয়ে ‘উন্নয়ন’-এর নামে প্রকৃতিকে নষ্ট করেই এই বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে।”
সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রশাসনের ভূমিকা শুধু গাফিলতিপূর্ণই নয়, অমানবিকও। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন হাজার হাজার মানুষ বিপর্যস্ত, তখন রাজ্য সরকার ব্যস্ত ‘কার্নিভালে’। “কলকাতায় দশ জন মানুষের মৃত্যুর পরে যখন প্রশ্ন উঠেছিল, তখনও সরকার দায় এড়িয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিল। এবার উত্তরবঙ্গের চিত্র আরও ভয়াবহ, অথচ রাজ্য প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই”,বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিমানবাবু।
বাম নেতৃত্বের দাবি, শুধু রাজ্য নয়, কেন্দ্রও সমানভাবে দায়ী। বিমানবাবুর কথায়, “উত্তরাখণ্ড, হিমাচল— হিমালয়ের পাদদেশে চলছে একই খেলা। বন্যা, ধস, মৃত্যু যেন রুটিন। এখন ভরসা মানুষের, তাই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষই।”
ইতিমধ্যেই রেড ভলান্টিয়র, ছাত্র-যুবদের একাধিক সংগঠন পৌঁছে গেছে দুর্গত এলাকায়। চলছে ত্রাণ সংগ্রহ, চলছে রান্না করা খাবার, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠানো। তৈরি হয়ে