মমতা-অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর (West Bengal SIR) ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বিরোধিতায় সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, বাংলায় তাঁরা এসআইআর (SIR) করতে দেবেন না। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) এর বিরোধিতা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (ECI)। কিন্তু ইসিআই সেসবে পাত্তা না দিয়েই বাংলার জন্য এসআইআরের ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করবেন বিএলও-রাও। এই ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, প্রথম থেকে এসআইআরের বিরোধিতা করে এসে এখন তাঁরা এটি গিলে ফেলেছেন! এখন যখন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে এবং তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, তখন অন্য কথা বলছেন এঁরা। শুভেন্দুর কথায়, ''মমতা বলছিলেন এসআইআর হতে দেব না। রুখে দাঁড়াব। এখন বলছেন, বিএলও-দের (BLO) ওপর নজর রাখতে হবে। বিএলএ-২ দিতে হবে। অর্থাৎ গিলে ফেলেছে এসআইআর।''
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ''উনি আরও বড় বড় কথা বলেছিলেন। হতে দেব না, রক্তগঙ্গা বইবে দেব। আর এখন তিনি বলছেন এসআইআরে নজরদারি করতে। প্রকৃত ভোটারের নাম (Voters Name) বাদ গেলে তাহলে দিল্লি যাবেন। আন্দোলন করবেন।'' বিরোধী দলনেতা অভিযোগের সুর তুলে মনে করান, এর আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চুরি করে তৃণমূল ১০ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা বলেছিল। গেছিল ৩ হাজার লোক গেছিল। তবে সেখানেও দিল্লি পুলিশ জুতো খুলিয়ে ছুটিয়েছিল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, এসআইআর ইস্যুতে তৃণমূল দিল্লি যেতেই পারে তবে জুতো কলকাতায় রেখে যেতে হবে। নাহলে ওখানে হাতে নেওয়ারও সুযোগ পাবে না। কারণ দিল্লি পুলিশের লাঠির মাপ ৬ ফুট!
তৃণমূল বারবার অভিযোগ করে আসছে যে - এসআইআর করার উদ্দেশ্য হল এনআরসি (NRC) করা। কিন্তু বিজেপি এই দাবি মানতে রাজি নয়। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু মনে করান রাজ্যে নানা জায়গা মূর্তি ভাঙার ঘটনার কথা। তাঁর বক্তব্য, কারা এই কাজ করতে পারে আর কারা পারে না, সেটা সকলের কাছে পরিষ্কার। আর যারা করতে পারে তারা আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক (Vote Bank)। সুতরাং তারাও জানে পুলিশ তাদের চুলও স্পর্শ করবে না। এসআইআর হলে এই লোকগুলিই বাদ যাবে তাই ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।