'মাছের তেলে মাছ ভাজা! ১০ নম্বর বাতিল করতে হবে', পুজোর মুখে ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা
পুজোর মুখে ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা
উৎসবের আবহ শহর, রাজ্যে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) মধ্যে তার কোনও ছাপ নেই। বরং বৃহস্পতিবার পুজোর মুখে ফের পথে নামলেন তাঁরা। দাবি, শূন্যপদের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং চাকরিহারাদের (Jobless Teachers) দেওয়া অতিরিক্ত ১০ নম্বরের (10 Marks) সুবিধা বাতিল করতে হবে।
করুণাময়ীতে (Karunamoyee) মূলত এই দুই দাবি তুলেই বিক্ষোভ দেখান এসএসসি-র নতুন চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Job Seekers)। বেলায় বিকাশ ভবন অভিযান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য - এত বছর পর নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে তাও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। কারণ বিরাট দুর্নীতি হয়েছিল। কিন্তু এখন যে বিষয়টি দাঁড়িয়েছে সেটা অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো! কেন এমন বলছেন তাঁরা, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, 'দু-দফায় যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তাতে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা কার্যত সুযোগই পাবে না। কারণ চাকরিহারাদের ১০ নম্বরের সুবিধা রয়েছে। এটা বাতিল করতে হবে। নাহলে এতদিন পর পরীক্ষা নিয়েও চাকরি তারাই পাবেন যারা আগেই পেয়েছিলেন এবং দুর্নীতির কারণে চলে গেছিল। অনেকটা গঙ্গাজলে গঙ্গা পুজো করার মতো।' তাঁদের স্পষ্ট দাবি, এই বাড়তি নম্বরের সুবিধা বাতিল করতেই হবে।
তাঁদের আরও যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে প্যানেলের কোনও ভিত্তিই নেই তার চাকরিহারাদের বাড়তি নম্বরের সুবিধা দেওয়া যাবে না। আর এই নম্বর দিলে নতুন চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন যারা ২০২৫ সালে পরীক্ষা দিলেন। প্রসঙ্গত, চাকরিহারাদের অভিজ্ঞতার জন্য নতুন নিয়মে বাড়তি ১০ নম্বর ধার্য করেছিল এসএসসি। সেই নিয়েই এত বিতর্ক।
অন্যদিকে, চাকরিহারা যোগ্য গ্রুপ-সি অধিকার মঞ্চও এদিন করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের জন্যই আজ যোগ্যরা পথে। দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বেতনহীন থাকতে হচ্ছে তাঁদের, এর একটা বিহীত দূরত করতে হবে। এক শিক্ষাকর্মীর কথায়, যারা অযোগ্য বলে প্রমাণিত তাদের চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, আর যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যাবে না।
কদিন আগেও এসএসসি অভিযান করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগের দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। সেদিনও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীরা বলেন - দশ বছর পর নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে অথচ নতুন প্রার্থীদের পূর্ণ নম্বর পেলেও ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, ইন-সার্ভিস প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার শিক্ষককে ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, দিন কয়েক আগেই টেট উত্তীর্ণদের একাংশ ৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে পথে নামেন। হঠাৎ বিধানসভা অভিমুখে মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ধর্মতলা মেট্রো থেকে বেরিয়ে বিধানসভা ভবনের দিকে ছুটে যান বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাড়া করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কোথাও বচসা, কোথাও কেউ আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।