আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণা মতো শনিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্প (Amader Para Amader Samadhan)। সরকারি দাবি, এই কর্মসূচি ঘিরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
সোমবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানালেন, প্রথম দু’দিনেই রাজ্যের ১২০০টি শিবিরে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
মুখ্যসচিব বলেন, “মানুষ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, তাতে স্পষ্ট—এলাকাভিত্তিক বহু সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।”
প্রকল্পে প্রতি তিনটি বুথে একটি করে শিবির, এক একটি বুথে বরাদ্দ ১০ লক্ষ টাকা। প্রশাসনের লক্ষ্য, আগামী জানুয়ারির মধ্যেই এই কাজ শেষ করা।
এদিন মুখ্যসচিব ডিভিসির জলছাড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “১৮ জুন থেকে ৪ অগস্ট পর্যন্ত ডিভিসি প্রায় ৫০ হাজার লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অনেক জেলায়, বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরাতে হয়েছে। খুলতে হয়েছে ত্রাণ শিবিরও।”
শিবিরে কী কী পরিষেবা মিলবে?
নবান্ন থেকে পাঠানো নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই প্রকল্পে আপাতত ১৬টি সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও দু’টি ক্ষেত্র।
প্রধান কাজগুলির মধ্যে রয়েছে:
নলকূপ বসানো ও মেরামতি
বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ
এলইডি বা সোলার লাইট বসানো/মেরামতি
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাদ সংস্কার
প্রাইমারি স্কুলে রঙ করা, বেঞ্চ বসানো
শৌচালয় নির্মাণ ও সংস্কার
পুকুর সংস্কার ও ঘাট বাঁধানো
বর্জ্য ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন
কমিউনিটি সেন্টার ও বাসস্টপ মেরামতি
ফুটপাত তৈরি ও সংস্কার
অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান
রিকশা/অটো স্ট্যান্ড নির্মাণ
শুধু পরিকাঠামো নয়, এই প্রকল্প কর্মসংস্থানের নতুন দিকও খুলে দিতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ থাকায় বহু গ্রামীণ প্রকল্পে টান পড়েছে। সেই অভাব পূরণের চেষ্টাও করা হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে—এমনটাই বার্তা নবান্নের।