ফাইলচিত্র
ফের প্যারাগ্লাইডিং-এ বিপত্তি। হিমালচ প্রদেশে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে মৃত্যু হল গুজরাটের এক পর্যটকের। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ধর্মশালার ইন্দ্রুনাগ প্যারাগ্লাইডিং সাইতে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় ওই পর্যটনকেন্দ্রে দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা অর্জনের নেশায় ভিড় জমান পর্যটকরা। সোমবার প্যারাগ্লাইডিং করতে সেখানে গিয়েছিলেন গুজরাটের আহমেদাবাদের বছর ২৫-এর যুবক সতীশ রাজেশ ভাই। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সতীশকে সঙ্গে নিয়ে প্যারাশুট খুলে ঝাঁপ দেন স্থানীয় পাইলট। তবে দুর্ভাগ্যবশত বাতাসে ভাসার পরিবর্তে খাদে আছড়ে প্যারাসুটটি। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মশালার এক হাসপাতালে। সেখান থেকে সতীশকে স্থানন্তর করা হয় তান্ডা মেডিক্যাল কলেজে। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় সতীশের। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে তাঁর মাথা, মুখ ও শরীরের নানা জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। অন্যদিকে, কঙ্গারার বালাজি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে পাইলট সুরজকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
এই দুর্ঘটনায় ওই অঞ্চলের অ্যাডিশনাল এসপি লখনপাল বলেন, ইতিমধ্যেই সতীশের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের অনুমান অল্প দূরত্ব থেকে ছুটে যাওয়ার কারণে প্যারাশুট সেভাবে কাজ করেনি। তার উপর বাতাস কম থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি। ঘটনার জেরে ওই অঞ্চলে আপাতত প্যারাগ্লাইডিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
অবশ্য এই দুর্ঘটনা প্রথমবার নয়, গত জানুয়ারি মাসে ওই এলাকাতেই প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন ১৯ বছর বয়সি পর্যটক ভাবসর খুশি। তিনিও ছিলেন গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। একইভাবে আহত হয়েছিলেন পাইলট। ফের আরও একবার এখই ঘটনা ঘটল। ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার পর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।