অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পুলিশ-বিডিও
স্কুলে তিন শিক্ষক (Teacher)। আর তিন জনই ভোটার তালিকার কাজের দায়িত্ব পেয়ে বেরোবেন মাঠে (BLO)। তা হলে পড়ুয়াদের পড়াশোনা চলবে কী করে? সেই প্রশ্নেই মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার চণ্ডীগড় স্পেশ্যাল ক্যাডার এফপি স্কুল (School, Gaighata)। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা (Parent) গেটে তালা ঝুলিয়ে আটকে রাখলেন তিন শিক্ষককেই।
প্রায় দেড়শো পড়ুয়া এই প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। শিক্ষক সংখ্যা মাত্র তিন। কিন্তু তিন জনকেই ‘বুথ লেভেল অফিসার’ বা বিএলও-র দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন। অভিভাবকদের বক্তব্য, “একটা স্কুলে এমনিতেই শিক্ষক কম। তার মধ্যেও সবাইকে যদি মাঠে পাঠানো হয়, আমাদের বাচ্চারা পড়বে কার কাছে?”
স্থানীয় মানসকুমার মণ্ডল বলেন, “এলাকাটা গরিব মানুষের। গৃহশিক্ষক রাখার সামর্থ্য কারও নেই। স্কুলের শিক্ষকরাই একমাত্র ভরসা। কিন্তু তাঁরা না থাকলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ কী হবে?” সেই ক্ষোভেই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ অভিভাবকেরা স্কুলের গেটে তালা দেন। দাবি, অন্তত একজন শিক্ষককে স্কুলে রেখে বাকিদের পাঠানো হোক প্রশাসনিক কাজে।
অভিভাবকদের দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না শিক্ষকরাও। স্কুলের শিক্ষক ধীমানচন্দ্র রায় বলেন, “গেটে তালা দিয়ে আমাদের আটকে রেখেছিলেন অভিভাবকেরা। কিন্তু তাঁদের চিন্তা একেবারেই যৌক্তিক। সামনে পরীক্ষা। আমরা বাইরে গেলে পড়াশোনার ক্ষতি হবেই।”
তিনি জানান, বাইরে থেকে একজন শিক্ষক আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। “বিডিওর বৈঠকের পরই ঠিক হবে কে থাকবেন স্কুলে,” বলেন ধীমানবাবু।
ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যান গাইঘাটা থানার পুলিশ ও জয়েন্ট বিডিও ময়ূখ বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরাও। অভিভাবকদের আশ্বস্ত করা হয়, পড়াশোনায় যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে। আশ্বাস পেয়ে গেটের তালা খুলে দেন অভিভাবকেরা।