দিল্লিতে জারি হলুদ সতর্কতা
দিল্লিতে জারি হলুদ সতর্কতা। দূষণ প্রসঙ্গে সংসদে আলোচনার প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিরোধীরা সবরকমের সাহায্য করবেন বলেও জানান তিনি। প্রস্তাবিত বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাসও দেয় সরকার পক্ষ। কিন্তু বিরোধী দলনেতার তরফে প্রস্তাবিত দূষণ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা ছাড়াই শেষ হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অন্যদিকে, রাজধানীর দূষণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় হলুদ সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। দিল্লি ও আশেপাশের হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে।
অধিবেশ চলাকালীন লোকসভায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ‘দিল্লির দূষণ ভয়ানক জায়গায় পৌঁছেছে। মানুষ বিপদের মধ্যে রয়েছে। বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। দিল্লিবাসীকে রক্ষা করতে সংসদে আলোচনা হোক। সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানানো হোক। আমরা বিরোধীরা সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিছি।’ কিন্তু কেন্দ্রের শাসকদল দূষণ নিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থায় রয়েছে। তাই দূষণ নিয়ে বিরোধী দলনেতার প্রস্তাবের মান্যতা না দিয়েই সংসদের অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এদিকে, কুয়াশার ভয়ানক স্পেল অব্যাহত। গত কয়েকদিনের মতোই শুক্রবার সকালেও রাজধানীর ঘুম ভাঙল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে। দৃশ্যমানতাও প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা এড়াতে দিল্লি বিমানবন্দরের তরফে একটি নির্দেশ প্রকাশ করা হয়েছে। কুয়াশা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশে। রাজধানী দিল্লি, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে দৃশ্যমানতা পৌঁছেছে ১০০ মিটারের নীচে। মৌসম ভবনের তরফে এই এলাকাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।