মুরগির পাতলা ঝোল নয়, বরং রেঁধে ফেলুন চিকেন হটপাঞ্চ, জেনে নিন রেসিপি |
অর্পিতা ছিল, আছে, থাকবে... আমার স্ত্রী নেই, ও সব ছেড়ে এসেছিল আমার কাছে : পার্থ
অর্পিতা ছিল, আছে, থাকবে...
মঙ্গলবার দুপুরে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রাক্তন শিল্প ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তারপর থেকে তাঁর নাকতলার বাড়িতে হামলে পড়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানেই টিআরপি, নাকতলার ‘কাতু’-দা মানেই ট্রেন্ডিং। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment scam) অভিযোগ, বুড়ো বয়সে প্রেম, ‘হাঁটুর বয়সী’ বান্ধবী অর্পিতা, টাকার পাহাড়— এমন জমজমাট মহাকাব্যিক প্লট নট্ট কোম্পানিও কপাল গুণে পায়নি। এ হেন পার্থবাবু বুধবার দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে দ্য ওয়ালকে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন। মঙ্গলবার থেকে সেই এক প্রিন্টেড নীল রঙের ফতুয়া পরা। নীচে লুঙ্গি। পা দুটো ফুলে ঢোল হয়ে রয়েছে। হাতে চ্যানেল ছিল বলে এখনও বেশ ফোলা।
এ হেন পার্থবাবুর কাছে সোজাসাপ্টা মূল প্রশ্ন ছিল, এই যে টাকা, মহিলা, দুর্নীতির অভিযোগ, জেল যাত্রা মায় তাঁর জীবন—রাজনীতিতে আর ফিরে আসতে পারবেন? কে জায়গা দেবে তাঁকে?
পার্থ যেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জবাব ভেবে রেখেছিলেন। বললেন, “মহিলা জড়িয়ে গেছে কেন বলছেন? মহিলা তো আছেই। মহিলাদের অপমান করা খুব সহজ। আমার স্ত্রী নেই, আমার যদি কোন বন্ধু থাকে, তাঁকে অপমান করা খুব সহজ”। মহিলা মানে অর্পিতার কথাই বলছেন তো? পার্থর জবাব, “নিশ্চয়ই তাঁর কথা বলছি, তাতে কী হয়েছে? অর্পিতা শুধু ছিল না, অর্পিতা আছে, অর্পিতা থাকবে”।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা আগে জামিন পেয়েছেন, পার্থ তার অনেক পরে পেলেন। জামিন পাওয়ার পর এহেন অর্পিতার সঙ্গে পার্থ কথা বলার চেষ্টা করবেন, এমনটা ধরে নেওয়াই অনিবার্য। পার্থকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলবেন, “কথা হয়েছে কি হয়নি সেটা বলব না। সেটা ব্যক্তিগত”। তবে হ্যাঁ এদিনও অর্পিতাকে নিয়ে বেশ গর্ব করেন পার্থ। অনেকের মতে, বৃদ্ধ বয়সে তরুণী বান্ধবী হলে এমন গর্ব গর্ব ভাব হয়। পার্থরও হয়তো তাই হয়েছে। তিনি বলেন, “ও তো অভিনেত্রী ছিল। এটা তো কেউ বলে না। ৩৪-৩৫ টা ওড়িয়া সিনেমা করেছে। এক নম্বর নায়িকা ছিল...যদি সে সব ছেড়ে দিয়ে সে আমার বাড়িতে আসে। সে যদি আমার পারিবারিক বন্ধু হয়। তাতে ক্ষতিটা কী হল। আমারও বন্ধুকে আমি তো অস্বীকার করতে পারব না”।
শুধু তা নয় হাঁটুর বয়সি শব্দটা নিয়ে আপত্তি করেন পার্থ। বলেন, বললেন, “যাঁরা বলছেন, হাঁটুর নিচে তাঁরা উল্লাসকর দত্তর বইটা একবার পড়ে দেখুন। তা হলেই বুঝতে পারবেন হাঁটুর বয়সী মানে কী?” পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে অবশ্য পার্থ এমনি অর্পিতাকে আঁকড়ে ধরছেন না। বরং বলা যেতে পারে চাইলেও এখন অর্পিতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সে রকম করলে অর্পিতাই হয়তো পার্থর বিরুদ্ধে গড় গড় করে অনেক কিছু বলে দিতে পারেন বা রাজসাক্ষী হয়ে যেতে পারেন। তাই পার্থর এই প্রেম বা আবেগের নেপথ্যে কৌশলগত কারণও থাকতে পারে।