ফের শহরে প্রধানমন্ত্রী
কলকাতা (Kolkata) শহরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ সম্মেলন। আগামী ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, কলকাতা শহরে আয়োজন করা হয়েছে 'কম্বাইন্ড কমান্ডারস’ কনফারেন্স (Combined Commanders’ Conference - CCC) ২০২৫। এবারের সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু হল - ‘ইয়ার অফ রিফর্মস - ট্রান্সফর্মিং ফর দ্য ফিউচার’ (Year of Reforms - Transforming for the Future) বা ‘সংস্কারের বছর - ভবিষ্যতের জন্য রূপান্তর’।
এই সম্মেলনে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিরা তো উপস্থিত থাকবেনই, সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra)। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি ফের কলকাতায় আসছেন। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (Chief of Defence Staff) এবং প্রতিরক্ষা সচিব এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবরাও এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে 'রিফর্মস' (Reforms), 'ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড চেঞ্জ' (Transformation & Change) এবং 'অপারেশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস' (Operational Preparedness)।
এই বিষয়গুলি সামরিক সংস্কার, গভীর সংহতি এবং প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের প্রতি সশস্ত্র বাহিনীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন। একই সঙ্গে, দেশের বহুমুখী এবং কৌশলগত প্রস্তুতিকে উচ্চ পর্যায়ে বজায় রাখাও এই আলোচনার লক্ষ্য। এই সম্মেলন এমন এক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে ক্রমাগত জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী আরও ক্ষিপ্র ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারবে।
সম্মেলনে শুধুমাত্র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাই থাকবেন না, বরং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা এবং কর্মীদের সঙ্গেও আলাপচারিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিগুলিও যেন সর্বোচ্চ স্তরের আলোচনায় স্থান পায়।
গত মাসেই বাংলায় তথা কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একসঙ্গে উদ্বোধন করেন তিনটি মেট্রো রুটের - নোয়াপাড়া–জয় হিন্দ বিমানবন্দর, শিয়ালদহ–এসপ্ল্যানেড এবং বেলেঘাটা–(রুবির মোড়) হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Inaugurates three metro routes)। তারপরই রাজনৈতিক সভাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই সময়ে কলকাতায় এসে ফোর্ট উইলিয়ামে প্রতিরক্ষা নিয়ে তাঁর বৈঠকের বিষয়টি ভীষণ বেশি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।