কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মোদী
মাওবাদী থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে একাধিক প্রসঙ্গ উস্কে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস। নয়াদিল্লিতে পটেল চকে ইতিমধ্যে বল্লভভাই পটেলের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন। গুজরাটের কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মোদীও। সেখান থেকেই জাতির উদ্দেশে দিয়েছেন বার্তা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় এই দেশের একটা বড় অংশ ছিল মাওবাদী ও নকশালদের কবলে। সেই সব মাওবাদী অধ্যুষিত অংশগুলিতে ভারতের সংবিধান চলত না, চলত তাঁদের শাসন। কিন্তু ২০১৪ সালের পর আমরা নকশাল ও নকশাল সমর্থকদের একেবারে ব্য়াকফুটে ফেলে দিয়েছি। ওদের ঘরে ঢুকে শায়েস্তা করেছি। যার পরিণাম আজ দেশবাসীও দেখছে। ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত দেশের শতাধিক জেলা ছিল মাওবাদীদের কবলে। তবে আজ তা সেই সংখ্যা কমে এসেছে ১১-তে। যার মাত্র তিনটি জেলাই সংবেদনশীল।’
বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন মোদী। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘স্বাধীনতার পর দেশবাসী যাঁদের হাতে দেশের দায়িত্ব সপে দিল, তাঁরাই দেশের জাতীয় চেতনাকে, আত্মীকতা, ভাবধারাকে নষ্ট করল। যে সকল প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ওনাদের মানসিকতা, ভাবধারার বিরোধী তাঁদের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছিল কংগ্রেস। এরা বাবা সাহেব অম্বেদকর, বল্লভভাই পটেল, এমনকি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে রেহাই দেয়নি। তাঁদের সম্মান করেনি। মানুষ জানে ওঁদের সঙ্গে কংগ্রেস কী আচরণ করেছে!’
সাম্প্রতিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিটি ভাষণেই উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কথা। বিশেষ করে সঙ্ঘ পরিবার শতবর্ষে পা দিতেই জাতির উদ্দেশে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে নানা ভাবে তুলে ধরেছেন তিনি, মত একাংশের। এবার তা ফুটে উঠল শুক্রবারের ভাষণেও। কংগ্রেসের দিকে তির বিঁধে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘এই বছর সঙ্ঘ পরিবার শতবর্ষে পা দিয়েছে। কংগ্রেস ওদেরকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি। সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক ষড়যন্ত্র করেছে। সঙ্ঘের প্রতিটি বিচার ও ভাবধারা মানুষের কাছে ওরা বিকৃত করেছে। তবে আমরা এই বিভাজনের রাজনীতিকে শেষ করে দিয়েছি।’