বন্দেমাতরম’ স্মরণ করলেন মোদী
‘মন কি বাত’-এর অনুষ্ঠান থেকে বাঙালি অস্মিতায় শান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তুলে ধরলেন ‘বন্দেমাতরম’-র কথা। ভারতের জাতীয় স্তোত্র-এর দেড়শো বছর উপলক্ষে বিশেষ উদযাপনের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জনসাধারণের কাছেও আর্জি রাখলেন, ‘বন্দেমাতরম’-র দেড়শো বছরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
এদিন নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করে। এই গানের প্রথম লাইনটাই প্রতিটি ভারতীর মনে অনুভূতির জোয়ার তৈরি করতে সক্ষম। কারণ, বন্দেমাতরম এই একটা শব্দই হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত। যা খুব সহজ ভাবে মাতৃভূমির সঙ্গে আকর্ষণ তৈরি করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ১৪০ কোটি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষমতা রয়েছে বন্দেমাতরমের মধ্যে। যদি কোনও বিপদ আসে, তখন বন্দেমাতরম স্তুতি করুন। এটাই আমাদের দেশাত্মবোধকে জাগিয়ে রাখতে সক্ষম হবে।’
উল্লেখ্য, ১৮৭৬ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত ও বাংলার মিশ্রণে এই বন্দেমাতরম গানটি লিখেছিলেন। যা আবার ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দমঠ উপন্যাসে। আগামী বছর সেই ‘বন্দেমাতরম’ স্তোত্রের দেড়শো বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই সেই বিশেষ সময়কে আরও বিশেষ করে তুলতে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী। ‘মন কি বাত’-র ১২৭ তম পর্বে দিলেন বিশেষ উদযাপনের বার্তা।
শুধুই ‘বন্দেমাতরম’ কিংবা বঙ্কিমচন্দ্র নয়, মোদীর বার্তায় উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গ। তিনিই যে প্রথম ‘বন্দেমাতরম’ গানটি গেয়েছিলেন, ‘মন কি বাত’ থেকে সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, মোদী তুলে ধরেছেন বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন থেকে ‘এক পেড মাকে নাম’-সহ একাধিক উদ্যোগের কথা। সাধুবাদ দিয়েছেন দেশের নিরাপত্তরাক্ষীদেরও। গতবছর যে ভাবে দেশের সীমান্তরক্ষী, বিএসএফ ও সিআরপিএফ-র ভারতীয় সামরিক কুকুররা ৮ কেজির অধিক বিস্ফোরকের সন্ধান পেয়েছিল, সেই ঘটনার জন্য তাঁদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, ‘ভারতীয় কুকুরগুলি অস্বাভাবিক শক্তিধর। গতবছর ওরা মাওবাদী-অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ে ৮ কেজির অধিক বিস্ফোরক খুঁজে বের করেছিল।’