বিকাশ ভবনে ধুন্ধুমার!
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বাতিল ও নতুন ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশের দাবিকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুর থেকে বিকাশ ভবনের সামনে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছিল। সরকারের উদ্দেশে ৩ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন প্রতিবাদে সামিল চাকরিপ্রার্থীরা (SSC job seekers)। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই পরিস্থিতি অন্য মোড় নেয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কোনও রকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ হঠাৎ শক্ত হাতে সরিয়ে দিতে শুরু করে তাঁদের(Police clash at Bikash Bhavan, Allegations of forcibly breaking up protest)।
অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে সন্ধ্যা নামতেই বিকাশ ভবন চত্বরে কার্যত রণক্ষেত্রের আবহ। ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি— সব মিলিয়ে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে স্লোগানে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, “শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশি হস্তক্ষেপ অযৌক্তিক। সরকার দাবি না মানলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
অন্যদিকে পুলিশের স্পষ্ট বক্তব্য, বিনা অনুমতিতে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা দখল করে রাখায় বারবার অনুরোধ করেও সরতে চাননি বিক্ষোভকারীরা। বাধ্য হয়েই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অন্যতম অভিযোগ, ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ফুল মার্কস পাওয়া বহু প্রার্থীই নাকি ইন্টারভিউ কলই পাননি। “ফুল মার্কস পেয়েও ইন্টারভিউ তালিকায় নাম না থাকার মানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন থেকেই যায়,”— দাবি তাঁদের। সেই কারণে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধার্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ারই দাবি তাঁদের মুখে।
এ দিনের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই শিক্ষা দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়— যোগ্য নথি না থাকলে ভেরিফিকেশনের সময়ই বাদ পড়বেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানান, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের পর শূন্যপদ আরও বাড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
তবে পুলিশি হস্তক্ষেপের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও ক্ষোভের পারদ চড়ছে। দু’পক্ষেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। বিকাশ ভবনের সামনে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয়দের।