জনসভায় গিয়ে মোদীকে 'ডরপোক' বললেন রাহুল
বিহার জুড়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ (Bihar Election)। বেগুসরাই ও খাগাড়িয়ার নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Neredra Modi) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বললেন, “৫৬ ইঞ্চি ছাতির দাবিদার প্রধানমন্ত্রী আসলে 'ডরপোক' (ভীতু)।” রাহুলের এই মন্তব্যে চড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
বুধবারের ওই জনসভাগুলিতে রাহুল দাবি করেন, “মোদীজি বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু দেশের যুবকদের কর্মসংস্থানের কথা বলেন না। শিল্প, কৃষি বা শিক্ষার উন্নয়ন নয়, শুধু বিভাজনের রাজনীতি করেন।” কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “বিহারে উন্নয়নের নামে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।”
অন্যদিকে, মোখামা কেন্দ্রে ভোটযুদ্ধ পরিণত হয়েছে দুই ‘বাহুবলী’-র সংঘর্ষে। একদিকে জেডিইউ নেতা অনন্ত সিং, অন্যদিকে এলজেপি প্রার্থী বীণা দেবী— সুরজভান সিং-এর স্ত্রী। অনন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক খুনের মামলার পর থেকেই এলাকা কার্যত অগ্নিগর্ভ।
মাহাগঠবন্ধনের তরফে তেজস্বী যাদবও নামেন প্রচারে। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। তেজস্বীর বক্তব্য, “যেখানে অপরাধীরা প্রভাব খাটায়, সেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। এই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।”
চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধের আগে বিহারের রাজনৈতিক ময়দানে একদিকে মোদী বনাম রাহুল, অন্যদিকে দুই ‘বাহুবলী’-র রণক্ষেত্র—মোখামা। সব মিলিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন যেন উত্তপ্ত মঞ্চের নাটক।
অন্যদিকে, জনসভা সেরে বেগুসরাই জেলায় হঠাৎই মাছ ধরতে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেতা। স্থানীয় মল্লাহ সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সরাসরি মিশে গেলেন তিনি।
সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মুকেশ সাহানি, যাঁর বিকাশশীল ইনসান পার্টি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক। দু’জনে মিলে নৌকায় চেপে মাঝ পুকুরে পৌঁছন। সেখানে সাহানি জামাকাপড় খুলে কেবল গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট পরে জাল ফেলেন। তাঁর দক্ষতায় মুগ্ধ রাহুল গান্ধীও হাসিমুখে তাকিয়ে থাকেন। এরপর সাহানি কোমরজলে নেমে পড়তেই রাহুলও নেমে পড়েন তাঁর পিছু পিছু। চারপাশে তখন গগনভেদী স্লোগান— “রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ!”
মল্লাহ সম্প্রদায়ের অনেকে সেই সময় পুকুরপাড়ে ভিড় করেছিলেন। কেউ কেউ নিজেরাও জলে নেমে পড়েন রাহুলদের সঙ্গে মাছ ধরতে। শুধু তাই নয়, কানহাইয়া কুমারকে সঙ্গে নিয়ে সাঁতারও কাটেন কংগ্রেস সাংসদ।