বড়দিনের পার্টিতে নলেন গুড়ের ব্রাউনি দিয়েই মিষ্টিমুখ! অতিথিদের মন জিততে জেনে নিন সহজ রেসিপি |
প্রিয়ঙ্কাকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করার দাবি, কংগ্রেসের সংসারে ত্যাজ্য হতে চলেছেন রাহুল?
কংগ্রেসের সংসারে ত্যাজ্য হতে চলেছেন রাহুল?
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল কংগ্রেসের। গান্ধী পরিবারের তনয়া প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রধানমন্ত্রী মুখ করার দাবি উঠছে। আর সেই দাবিতে সিলমোহর চাপিয়েছেন সনিয়া গান্ধীর একমাত্র জামাতা রবার্ট বঢরা। এমনিতেই বিদেশে গিয়ে রাহুল গান্ধীর ভাষণ নিয়ে বিজেপি উপহাস করে বলেছে, বিরোধী দলনেতার নাবালকত্ব এখনও কাটেনি। তার উপর গতবছর বিপুল আসনে এনডিএ সরকার গড়ার পর, ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করা নিয়ে তোয়াজ করে মজা করেছে বিজেপি।
কংগ্রেস এমপি ইমরান মাসুদের নতুন আবদার প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা পরবর্তী লোকসভা ভোটে দলের প্রধানমন্ত্রী মুখ হতে পারেন। সেই সুরে সুর মিলিয়ে রবার্ট বঢরাও বলেন, দেশের প্রতিটি কোণা থেকে এই একই দাবি চওড়া হচ্ছে। সকলেই চাইছেন, প্রিয়ঙ্কা সামনের সারিতে এগিয়ে আসুন। এমনকী সাধারণ কংগ্রেসিরা এও চাইছেন যে, আমিও রাজনীতিতে আসি। আমারও যোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু এখন আমাদের উচিত সাধারণ মানুষের মূল সমস্যার দিকে নজর দেওয়া।
কংগ্রেস এমপি মাসুদ মঙ্গলবার বলেন, যদি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তিনি ঠাকুমা, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতোই ব্যাপক জনসমর্থন পাবেন। মাসুদ আরও বলেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে দেখবেন তিনি কীভাবে ইন্দিরা গান্ধীর মতো প্রত্যুত্তর দেন। উনি হলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁর নামের পিছনে গান্ধী শব্দের জোশ রয়েছে। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি বলে কথা! এই ইন্দিরা গান্ধীই পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দিয়েছিলেন যে, তারা আজ পর্যন্ত তা ভুলতে পারেনি।
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই কথায় প্রিয়ঙ্কার দাদা রাহুলের কী প্রতিক্রিয়া হবে। মাসুদ বলেন, রাহুলও তাই চাইবেন, ওনারা তো আলাদা নন। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা হলেন একই মুখের দুটি চোখ। ইন্দিরা গান্ধীর দুই নাতি-নাতনি। এদিকে, জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের সামনে রাহুল বলেন, বিজেপি দেশের সংবিধান মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
এর জবাবে বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, রাহুলের স্বভাবই হচ্ছে বিদেশের মাটিতে ভারতের বদনাম করা। এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। উনি বিদেশে গেলেই ভারত বিরোধী লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাহুল কেবলমাত্র ভারতের অপমান করতে চান। আর সেকারণেই ইমরান মাসুদ, শশী তারুরের মতো প্রিয়ঙ্কা শিবিরের অনেক নেতা রাহুলকে অপছন্দ করেন। দলের ভিতরে ছাড়াও শরিক দলের অনেকেই রাহুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। জনমত চিরকালই তাঁর বিরুদ্ধে ছিল, এখন দেখা যাচ্ছে জনপথও তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে।