শতাব্দী এক্সপ্রেস
আসানসোল,বিশ্বদেব ভট্টাচার্য: যাত্রীসংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়ায় আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে হাওড়া আসানসোল ধানবাদ শতাব্দী এক্সপ্রেসের দুটি এসি চেয়ারকার কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। সাতটি এসি চেয়ারকারের জায়গায় পাঁচটি এসি চেয়ার কার থাকবে। এর অন্যতম কারণ মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের দূরত্বের মধ্যেই পর পর হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসানসোল হয়ে ধানবাদের দিকে যাচ্ছে। যখন বন্দে ভারত ছিল না তখন শতাব্দী এক্সপ্রেস ছিল এই গোটা খনি শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে দুর্গাপুর, আসানসোল ,ধানবাদ সর্বত্রই প্রচুর যাত্রীর সেরা প্রিমিয়ার ট্রেন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু বন্দে ভারত শুরু হওয়ার পর তা যাত্রীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয় এবং দিন দিন শতাব্দী এক্সপ্রেস এর যাত্রী সংখ্যা বিশেষ করে এ সি চেয়ার কারে যাত্রীদের ব্যবহারের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। বৃহস্পতিবারও ৪৮ টি আসন খালি গেছে বলে সূত্রের খবর।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন যাত্রী কমে যাওয়ার কারণেই আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে হাওড়া আসানসোল ধানবাদ সেকশন এ চলাচলকারী শতাব্দী এক্সপ্রেসের দুটি এসি কামরা তুলে নেওয়া হবে। এবং আবার যদি কখনো যাত্রী বাড়ে তখন রেল নিশ্চয়ই বিবেচনা করে দেখবে সেগুলো লাগানো যাবে কিনা। তিনি বলেন যাত্রী বিহীন খালি কোচ চালিয়ে লাভ নেই।
দেখা যাচ্ছে হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দেভারত সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ছে এবং আসানসোলে ৮টা ৪০ মিনিটে পৌঁছে ৮:৪২ এ ছাড়ছে। শতাব্দী এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে ৬টা পাঁচ মিনিটে ছাড়ছে। আসানসোলে এই ট্রেনটি ৮:১২ তে পৌঁছচ্ছে এবং ৮:১৪ মিনিটে ছাড়ছে। অর্থাৎ দুটি প্রিমিয়ার ট্রেনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাত্র ৩০ মিনিট থেকে ৪০মিনিট গ্যাপ থাকছে। দুটি ট্রেনেরই গতিবেগ প্রায় একই থাকে বলে যাত্রীদের ধারণা।
আসানসোলের বণিক সভার সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ ঝা বলেন, যারা শতাব্দীতে যাতায়াত করেন তারা সামান্য টাকা বেশি দিয়ে চাইবেন বন্দে ভারতের মতোই প্রেস্টিজিয়াস ট্রেনে যাতায়াত করতে। এটা শুধু আমার বা আমাদের ক্ষেত্রে নয় সাধারণ যাত্রীরা ও এতে খুশি হন। যখন বন্দে ভারত ছিল না তখন ধানবাদ হাওড়ার মধ্যে শতাব্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রিমিয়ার ট্রেন হিসেবে কাজ করতো। তখন অনেক আগে থেকে টিকিট কাটলে তবেই জায়গা মিলত। স্বাভাবিকভাবেই যদি যাত্রী না হয় তাহলে কোচের পর কোচ ফাঁকা চালানোর কোন যুক্তি নেই। তবে বন্দে ভারতেও প্রচুর সিট কিন্তু খালি যায় দেখেছি। শম্ভুবাবুর সহ বন্দে ভারতের অনেক যাত্রী দাবি করেন গয়া পর্যন্ত ট্রেনটি না চালিয়ে তা যদি বেনারস পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যায় তাহলে খালি যাবে না । প্রচুর যাত্রী পাওয়া যাবে। কতটা খালি আছে এটা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আগামী পহেলা আগস্ট পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে বন্দে ভারতে ৪৭০ থেকে ৯১৯ টি সিট বিভিন্ন দিনে খালি আছে। অন্যদিকে ওই একই সময় শতাব্দী এক্সপ্রেসে ৪৮ থেকে ৫৩ টি সিট খালি থাকছে। ভাড়ার ক্ষেত্রে বন্দে ভারতের সঙ্গে শতাব্দীর মধ্যে পার্থক্য আসানসোল হাওড়া ধরলে ১৬০ টাকা মতো।