ফুটবল খেলছে রামলাল
ফের রামলাল! এ বার প্রাথমিক স্কুলের দরজা ভেঙে মিড ডে মিলের চাল খেল দাঁতাল। শুধু তাই নয়, বিকেলে আবার তাকে দেখা গেল ফুটবল খেলতে। বেশ কয়েক মাস ধরেই রামলালের ‘হাতিগিরি’ চলছে ঝাড়গ্রাম জুড়ে। কখনও সে ট্রাক আটকে রাখে। আবার কখনও সে ফল পেড়ে খায়। মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে তৈরি করে যানজটও। শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে ধাক্কা দিয়ে ঢোকে রামলাল।
স্কুলের রান্নাঘরের সঙ্গেই রয়েছে গুদাম ঘর। সেখানে চালের বস্তা রাখা থাকে। রামলাল লোহার দরজা ভেঙে শুঁড় দিয়ে চালের বস্তা বাইরে বের করে এনে চাল খায়। তারপর সেই চাল এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে জঙ্গলে ফিরে যায় সে।
কিন্তু বিকেলে ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সরাসরি জিতুশোলের মাঠে চলে আসে রামলাল। তখন সেখানে গ্রামের খুদেরা ফুটবল খেলছিল। রামলালকে দেখেই সবাই সরে দাঁড়ায়। মাঠে পড়েছিল ফুটবলটি। রামলাল মাঠে এসেই শুঁড়ে বলটি তুলে নেয়। পা দিয়ে তা মারার চেষ্টা করে। কখনও সামনের পা দিয়ে আবার কখনও পিছনের পা দিয়ে তা নিয়ে খেলা করে ফের দুলকি চালে রওনা দেয় গ্রামের দিকে। তারপর লোধাশুলি ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে খাবারের সন্ধান করার পরে ফিরে যায় জঙ্গলে।
বিকেলে এই দৃশ্য দেখে অবাক গ্রামবাসীরা। সকালে চাল খেয়ে নেওয়ার বিষয়টি তখন তাঁদের যেন মনে নেই। এই দৃশ্য দেখে মাঠের খুদেরাও বেশ আনন্দ পায়। তবে রামলাল ঝাড়গ্রামে বেশ জনপ্রিয়। আর পাঁচটা বুনো হাতির থেকে রামলালের স্বভাব আলাদা হওয়ায় সবাই তাকে এক নামেই চেনেন।
খাবারের সন্ধানে রাস্তায় উঠে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেয় সে। কয়েক দিন ধরে ঝাড়গ্রামের শালবনি এবং গড় শালবনি এলাকায় আস্তানা গেড়েছিল রামলাল। ওই এলাকায় প্রচুর আম ও কাজুর বাগান রয়েছে।
শালবনি, গড় শালবনি এলাকায় থাকাকালীন প্রতিদিন সকাল বিকেল লোধাশুলি থেকে ঝাড়গ্রাম আসার ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপরে উঠে লরি থামিয়ে খাবারের সন্ধান করত সে। এ ছাড়া জিতুশোলে থাকা রাইস মিলে হানা দিয়ে মাঝেমধ্যে চাল, ধান খেয়ে ফেলত রামলাল।