শীত পড়তেই কমলালেবুর সুঘ্রাণ! নাগপুরের লেবুর দাপট মালদহের বাজারে |
বেঁধে দেওয়া হল সময়! CBI-কে মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ লোকপালের
ঠিক কী নির্দেশ লোকপালের?
‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার মামলায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই-কে চার্জশিট দেওয়ায় ‘সবুজ সংকেত’ দিল লোকপাল। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে সিবিআই-কে সেই চার্জশিট পেশ করতে হবে। পাশাপাশি, তার একটি প্রতিলিপি জমা দিতে হবে লোকপাল আদালতেও।
ঠিক কী নির্দেশ লোকপালের?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, লোকপালের নির্দেশ, ‘২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা ২০(৭) এবং ধারা ২৩(১) অনুযায়ী, সিবিআইকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করতে হবে। পাশাপাশি, সেই জমা করা চার্জশিটের একটি প্রতিলিপি জমা দিতে হবে লোকপাল দফতরেও।’ অবশ্য, সংশ্লিষ্ট আদালতে সেই চার্জশিট করার পরই যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে এমনটা নয়। নির্দেশিকায় লোকপাল জানিয়েছে, ‘চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে আইনি প্রক্রিয়া নয়।’
গত বছর লোকপালের নির্দেশের পর মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ছ’মাসের মধ্য়ে সেই তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। পরবর্তীতে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য লোকপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। যাতে এবার অনুমতি দিল লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ।
সম্প্রতি এই লোকপালের বেঞ্চের শুনানি থেকে ‘গা বাঁচাতে’ চেয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংবাদমাধ্য়মের সামনে মামলার সংবেদনশীল নথি তুলে ধরেছিলেন বলে অভিযোগ ছিল মহুয়ার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই লোকপাল শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করার আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয়েছিল শুনানি। কিন্তু ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের মামলার এই পর্যায়ে এসে কোনও রকম স্থগিতাদেশ জারি করা যাবে না বলেই জানিয়েছিল হাইকোর্ট। খারিজ হয়েছিল তৃণমূল সাংসদের আবেদন।