শীত পড়তেই কমলালেবুর সুঘ্রাণ! নাগপুরের লেবুর দাপট মালদহের বাজারে |
‘উত্থান-পতন থাকেই, আমরা গরিবের দল ছিলাম, থাকব’, বিহারে ভরাডুবির পর RJD-র প্রথম প্রতিক্রিয়া
বিহারে ভরাডুবির পর RJD-র প্রথম প্রতিক্রিয়া
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Election Result 2025) বড় ধাক্কা খেয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। ২৪ ঘণ্টা নীরব থাকার পর সেই নিয়ে মুখ খুলল আরজেডি (RJD)। ফল ঘোষণার পর লেখা ওই সংযত পোস্টে দল জানাল, পরাজয়ে হতাশ নয় তারা, বরং দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই দেখছে এই ব্যর্থতাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ আরজেডি লিখেছে, “জনসেবা এক নিরন্তর প্রক্রিয়া, এক অন্তহীন যাত্রা। এখানে উত্থান-পতন স্বাভাবিক। পরাজয়ে দুঃখ নয়, জয়ে অহঙ্কার নয়। আরজেডি গরিবের দল, গরিব মানুষের জন্যই কথা বলবে।”
কিন্তু এই শান্ত-সংযমী পোস্ট ভোটের সংখ্যার অঙ্ক ঢাকতে পারেনি। গতবারের ৭৫টি আসন থেকে এবারে আরজেডির প্রায় হাতশূন্য অবস্থা। মাত্র ২৫-এ থেমেছে দল। সহযোগী কংগ্রেসও বড় ধাক্কা খেয়েছে। ৬১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ৬টিতে, যা ২০১০-এর পরে তাদের জন্য সবচেয়ে খারাপ ফল।
অন্যদিকে, এনডিএ-র (NDA) ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি এক লাফে ৭৪ থেকে ৮৯— অন্যদিকে নীতীশ কুমারের জেডিইউ ৪৩ থেকে সরাসরি ৮৫-এ। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় দুই সঙ্গীর প্রায় ৮৫ শতাংশ স্ট্রাইক রেট এনডিএ-কে দিয়েছে স্বচ্ছ, শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
বিরোধী শিবিরে একমাত্র স্বস্তির হাওয়া তেজস্বী যাদবের আসন রাঘোপুরে। মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে লড়াই করা তেজস্বী প্রায় ১৪ হাজার ৫৩২ ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির সতীশ কুমারকে।
ভোট শেয়ারে অবশ্য আরজেডি এগিয়ে। বিজেপি, জেডিইউ-র যেখানে ২০.৯০ এবং ১৮.৯২ শতাংশ। সেখানে আরজেডি-র ২২.৭৬ শতাংশ।
ফলাফলকে “অন্যায্য নির্বাচনের” প্রতিফলন বলে দাবি করেছেন তেজস্বীর সঙ্গী রাহুল গান্ধী। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “বিহারের কোটি কোটি ভোটারকে ধন্যবাদ। এই ফল বিস্ময়কর। শুরু থেকেই নির্বাচন ছিল অন্যায্য।” এর পরদিনই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল, জয়ারাম রমেশ, অজয় মাকেন-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসে কঠোর পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১০-এর পর এটিই বিহারে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ ফল।