অসুস্থ ছাত্রী
আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট: বেসরকারী স্কুলের ছাত্রীদের মারধোর করার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই শিক্ষক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২ জন ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দিপুরে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিশ।
রামপুরহাটের সুন্দিপুরে রয়েছে একটি বেসরকারী মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন কমিটির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষমতা দখল নিয়ে ঠান্ডা অশান্তি চলছিল স্কুলেরই জীববিদ্যার শিক্ষক খুরশেদ আলম ও তার স্ত্রী মাসুমা আলমের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার স্কুলে ওই শিক্ষক পড়াতে গেলে ছাত্রীরা তার ক্লাস করতে রাজী হয়নি। তার পরেই ছাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক ও তার স্ত্রী। অভিযোগ সেই সময় ওই শিক্ষক ও তার স্ত্রী ছাত্রীদেরমারধোর করে। তার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের ১২ জন ছাত্রী। তাদের উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামপুরহাট থানার পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে।
স্কুলের বিল্ডিং-এর মালিক মহম্মদ ডালিম বলেন, "আমাদের সমাজ অনেক পিছিয়ে। সমাজের কিছু মেয়েকে শিক্ষার আলো দিতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পথচলা শুরু হয়। এখন থেকে বহু মেয়ে বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব ঠিকই ছিল। খুরশেদ আলম নামে এক শিক্ষকের কারণে স্কুলে অশান্তি হচ্ছে। উনি স্কুলের ম্যানেজার পদে আসীন হতে চাইছেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছে। এদিন ছাত্রীরা ওনার ক্লাস করতে রাজি হয়নি। সেই কারণে ওই শিক্ষক এবং তার স্ত্রী ছাত্রীদের চুলের মুঠি ধরে মারধর করে"। স্কুলের হোস্টেল ইনচার্জ নূরে নাইরা বলেন, "একটা গন্ডগোল হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কিন্তু কেন ওই শিক্ষক এমন করলেন বলতে পারব না"। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।