বড়দিনের পার্টিতে নলেন গুড়ের ব্রাউনি দিয়েই মিষ্টিমুখ! অতিথিদের মন জিততে জেনে নিন সহজ রেসিপি |
বড়দিনের আগে দিঘায় পার্কস্ট্রিটের রোশনাই! রঙিন আলো-সুরে ঝলমল সি-বিচ, কড়া পুলিশি প্রস্তুতি
বড়দিনের আগে দিঘায় পার্কস্ট্রিটের রোশনাই!
বড়দিনের আগেই উৎসবের রঙে মুড়ে গেল দিঘা। সি-বিচ থেকে সদ্য উদ্বোধন হওয়া জগন্নাথ মন্দির—চারদিকেই রঙিন আলোর ঝলকানি। আলোর কারুকাজ, সুরের মূর্ছনা আর ক্রিসমাসের অনুষঙ্গে সৈকতনগরী যেন একেবারে কলকাতার পার্কস্ট্রিটকেই টেক্কা দিচ্ছে (Digha is like Park Street before Christmas)। মঙ্গলবার থেকেই দিঘায় উৎসবের আমেজ স্পষ্ট। বড়দিন ও নিউ ইয়ারের প্রাক্কালে আলো–সংগীত উপভোগ করতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা (sea beach is sparkling with colorful lights and music, strict police preparations)।
সি-বিচ জুড়ে বাংলা গানের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশেছে বড়দিনের আবহ। ক্রিসমাস ট্রি, ঘণ্টা, হরিণ, সান্তাক্লজ, বেলুন আর রিবনের সাজে দিঘা হয়ে উঠেছে আরও রঙিন। আলোর সাজে মোহময়ী সদ্য উদ্বোধন হওয়া জগন্নাথ মন্দিরও। মন্দিরের সামনের রাস্তার মাথার উপর দিয়ে যেন ঢেউ খেলছে আলোর তরঙ্গ। মন্দির চত্বর থেকে সৈকত—সবখানেই উৎসবের ঝলক।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর এই প্রথম বড়দিন ও নিউ ইয়ারে দিঘাকে আলোর সাজে ভরিয়ে তোলা হল। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চলছে ব্যাপক আলোকসজ্জা। হোটেল মালিকদেরও নিজেদের হোটেল আলোকিত করতে বলা হয়েছে। উৎসবের মরসুমে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দিঘার অধিকাংশ হোটেলই এখন আলোয় ঝলমল।
২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি, এই সময়কালে দিঘায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে বলেই মনে করছে প্রশাসন। সেই ভিড় সামাল দিতে আগাম প্রস্তুত জেলা পুলিশ। দিঘা বাইপাস থেকে যান চলাচলে চালু হচ্ছে ওয়ান-ওয়ে ব্যবস্থা। ২৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে ২৫ ডিসেম্বর সারাদিন এবং ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি একইভাবে কার্যকর থাকবে ‘সিঙ্গল মুভমেন্ট’। মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় এলে যে ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থাকে, সেই ব্যবস্থা এবারও চালু করা হচ্ছে।
নিরাপত্তায় বাড়তি নজরদারির জন্য ড্রোন ও সিসি ক্যামেরায় নজর রাখবে পুলিশ। ইভটিজিং রুখতে মোতায়েন থাকবেন সাদা পোশাকের পুলিশও। প্রতিটি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক সেরেছে প্রশাসন। সাতটি জায়গায় চিহ্নিত করা হয়েছে পার্কিং জোন।
নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে দিঘায় একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ডিএসডিএ ও হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা উদ্যানে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রিন বাজির প্রদর্শনী। বড়দিন থেকেই দিঘা কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নেবে বলেই আশা হোটেল মালিকদের।