আসন ৩০৩ থেকে কমে ২৪০, তাই জিএসটি ২৭ থেকে ১৮! মোদীকে নিশানা অভিষেকের
মোদীকে নিশানা অভিষেকের
জিএসটি ইস্যুতে (GST) এবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
দলের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের সুরেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। কেন্দ্রের জিএসটি ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রীতিমতো বিদ্রুপ করে অভিষেক বলেন, "৩০৩ থেকে ২৪০ আসনে নেমে এসেছে বিজেপি, তাই জিএসটিও ২৭ থেকে ১৮ শতাংশে নামাতে বাধ্য হয়েছে। এর থেকেই পরিষ্কার, বিজেপি হারলে ট্যাক্স কমে, জিতলে বাড়ে।’’
অভিষেক বলেন,, ‘‘মোদীজি বলছেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে জিএসটি-তে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করি, তাহলে কি ২০১৭ থেকে ৮ বছর ধরে দেশে জিএসটি লুট উৎসব চলেছে? এটা যে চাপে পড়ে করা হয়েছে, সেটা একেবারে স্পষ্ট।"
কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, ‘‘হিরেতে জিএসটি নেই, অথচ জিরে, হাতা, পেন— সবেতেই জিএসটি!’’
বিগত এক দশকের কেন্দ্রীয় শাসন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘এদের অবস্থা হল ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। গত ১০ বছরে দেশকে রসাতলে ঠেলে দিয়েছে। জিএসটি আদায়ের পর বিরোধী রাজ্যগুলোর টাকা আটকে রাখা বিজেপির পুরনো অভ্যাস। তাই এদের নাটক নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলব না, মানুষই এর জবাব দেবে।’’
বাংলার ‘অধিকার’ প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করছি— বাংলা থেকে কত টাকা নিয়েছেন, আর বিনিময়ে বাংলাকে কত টাকা ফিরিয়েছেন? ১০০ দিনের কাজের টাকা হাইকোর্ট নির্দেশ সত্ত্বেও দেয়নি। উল্টে কোর্টে গিয়ে টালবাহানা করছে। প্রধানমন্ত্রী চান না, বাংলার ৬৯ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজে তাঁদের প্রাপ্য টাকা পান, চান না গরিবরা পুজোয় জামা কিনতে পারেন।’’
জিএসটি ছাড় নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘চাপে পড়ে জিএসটি কমিয়েছে। আমি আপনাদের বলছি, আরও কমবে। মানুষের কথা ভাবলে আরও আগে কমাতে পারত। কিন্তু ওরা ভাবছিল, ধর্ম দিয়ে দেশ চালাবে। এখন সে খেলাও বন্ধ। তাই অযোধ্যাতেও হেরেছে।’’
ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গেও তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ইডি-সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত টাকা সাধারণ মানুষকে ফেরত দেওয়া হবে। কোথায় গেল সেই টাকা? বিজেপিতে গেলে ধোওয়া তুলসী পাতা, আর বিরোধী দলে থাকলেই এজেন্সি ছাড়া হয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওদের কাছে দুটো 'ই' — এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আর ইনকাম ট্যাক্স। আমাদের কাছে এম-কিউ — মা, মাটি, মানুষ।’