মহিলাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার মারাত্মক অভিযোগ
দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে এক ভয়াবহ ঘটনায় বাড়ির ছাদ থেকে এক মহিলাকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলা বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
আক্রান্ত মহিলা হলেন বিজেপি কর্মী। অন্যদিকে, তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার মূল অভিযুক্ত হলেন তনয় পাইক, যিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। শুক্রবার বিকালে মথুরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত তনয় পাইককে গ্রেফতার করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মহিলার পিঠে গুরুতর চোট লেগেছে।
এই ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিওটি সামনে এনেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, যার ফলে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত এবং আক্রমণকারী উভয়েই আত্মীয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্য পাইক ও পাঁচুগোপাল পাইক, এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদ চলছিল।
শুক্রবার সকালে নিত্য পাইকের ছেলেরা যখন বাড়ির কাজ করছিলেন, তখন পাঁচুগোপাল পাইকের মেয়ে মঙ্গলা তাতে বাধা দেন। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছায়। অভিযোগ উঠেছে, নিত্য পাইকের ছেলে তন্ময় (মূল অভিযুক্ত) এবং কালুসোনা মঙ্গলাকে ছাদের ওপর থেকে নীচে ফেলে দেয়। সেই ঘটনার মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি নেতা পলাশ রানা অভিযোগ করেন, "ওই মহিলার আদালতে ১৪৪ ধারা আনার পরও তৃণমূলের লোক প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘর তৈরি করল। তারপর ওই মহিলাকেই ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিল। বিজেপির তরফে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে।"
মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার পাল্টা বলেন, "বিজেপি কোনও ইস্যু পেলেই তাতে রাজনীতি ঢোকাবে। এটা দুই ভাইয়ের বাড়ির জমি এবং আবাস যোজনার ঘর নিয়ে ঝামেলা। এর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানোর কোনও মানেই হয় না।"