৬৯ হাজার টাকার সেফটি পিন 'ব্রোচ'! প্রাডার নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে তুমুল শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায় |
SIR চালু হতেই ফাঁকা হচ্ছে কলকাতার একাধিক ঝুপড়ি-বসতি! রাতের অন্ধকারে উধাও ওরা
SIR চালু হতেই ফাঁকা হচ্ছে কলকাতা
SIR চালুর পর থেকেই কলকাতা (Kolkata) এবং সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনার একের পর এক ঝুপড়ি-বসতিতে (Several slums) ঝুলছে তালা। রাতারাতি উধাও বহু পরিচিত মুখ—যাদের কেউ ‘রহিমার মা’, কেউ বা ‘মিনতির মা’ নামে এলাকায় পরিচিত ছিল। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে আসা সেই বাসিন্দারাই এখন গা ঢাকা দিচ্ছেন। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে—সত্যিই কি তবে বিরোধীদের আশঙ্কাই বাস্তব রূপ নিচ্ছে?
নিউ টাউনের প্রান্তে কিংবা বিরাটির শরৎ কলোনিতে—একই ছবি। তালা পড়া ঘর, খালি উঠোন, আর ফিসফিসানি—“রাতে নাকি সবাই চলে গেছে।” স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর ধরে এইসব এলাকায় বসবাস করা একাধিক পরিবার এসআইআর ঘোষণার পরই উধাও!
বিরাটির শরৎ কলোনির বাসিন্দা অপলা মিত্র বলেন, “২৫ বছর ধরে আমার বাড়িতে কাজ করতেন রহিমার মা। হঠাৎই বললেন, কাজ ছেড়ে দেবেন। বললেন, এখানে থাকা যাচ্ছে না, বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। আতঙ্কে ছিলেন, কিন্তু কী কারণে—তা বলেননি।”
একই সুর গীতিকা বসুর গলাতেও। তাঁর কথায়, “আমার গৃহ সহায়িকা অনেক দিন ধরে কাজ করছিলেন। কয়েকদিন আগে বলল—সবাই নাকি বাংলাদেশ চলে যাচ্ছে। তারপর আর এলই না।”
বিশরপাড়ার ছবিটাও আলাদা নয়। কেউ ফিরছেন সীমান্তের ওপারে, কেউ আবার থেকে গিয়েও দিশেহারা। যেমন মহম্মদ আলম—তার হাতে ভোটার কার্ড, তবু চোখে ভয়।
“ভোট দিয়েছি, বউয়ের নামও ভোটার লিস্টে। কিন্তু ২০০২ সালের আগের কোনো কাগজ নেই। এখন যদি তাড়িয়ে দেয়, যাব কোথায়?”—প্রশ্ন তাঁর গলায়।
আর সাবিনা বিবির আতঙ্ক আরও গভীর, “আমি এখানেই জন্মেছি, আমার সব কাগজ আছে। কিন্তু মা-বাবার তো নেই। যদি তাদের যেতে হয়, আমি একা থাকব কী করে?”