কনভয়ে বিক্ষোভ-হামলার পরও দমছেন না শুভেন্দু
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি যাওয়ার পথে বিক্ষোভ ও হামলার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কালীপুজোর উদ্বোধনে (Kali Puja) যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু পথেই তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের বিক্ষোভে আটকে পড়ে তাঁর কনভয়। শুভেন্দুর দাবি, দু’বার তাঁর উপর হামলার চেষ্টা হয়েছে— আর তাতেই শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির তীব্র বাগ্যুদ্ধ।
রবিবার রায়দিঘি বিধানসভার সাতঘরা এলাকায় কালীপুজোর উদ্বোধনে যাচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। পথে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মোড়ে তৃণমূল মহিলা কর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। তাঁদের হাতে লেখা ছিল— “বাংলার শ্রমিকদের উপর অত্যাচার বন্ধ করুন”, “গরিব মানুষের ঘরের টাকা দিন”, “১০০ দিনের টাকা দিন” ইত্যাদি স্লোগান। তাঁদের অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় বিদ্বেষের রাজনীতি করছেন এবং সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভের পরও কালীপুজোর মঞ্চে উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার গাড়িতে নয়, সরাসরি আমার উপর হামলা হয়েছে। আমি গাড়ির ভিতরে ছিলাম বলেই রক্ষা পেয়েছি। এরা বর্বর।” তিনি আরও বলেন, “ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দু’জায়গায় আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেউ আমাকে থামাতে পারবে না।”
শুভেন্দুর দাবি আরও এক ধাপ এগিয়ে—তিনি বলেন, তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা হয়েছে। “আমি রাজনীতি করতে আসিনি, ধর্ম পালনে এসেছিলাম। তবুও হামলা করা হচ্ছে। এ রাজ্যে এখন হিন্দুদের ধর্মীয় স্বাধীনতাও নেই,”—বলেন তিনি।
কালীপুজো উদ্বোধনের পর তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় আরও রাজনৈতিক সুর—“দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখানে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়েছে, সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আপনি তৃণমূল বা সিপিএম—যেই দলেরই হন না কেন, একবার ভেবে দেখুন।” শুভেন্দু আরও ঘোষণা করেন, “জগদ্ধাত্রী পুজোর পর আবার ফিরব, এবার দলীয় পতাকা নিয়েই এলাকা ঘুরব।”
ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “গতকাল উত্তরবঙ্গে সাংসদ রাজু বিস্তার কনভয়ে হামলা, আর আজ শুভেন্দু অধিকারীর উপর হামলা—এ যেন বাংলায় বিরোধীদের উপর ধারাবাহিক সন্ত্রাসের নতুন অধ্যায়।”