গলায় রবীন্দ্রনাথের ছবি ঝুলিয়ে মিছিল শুভেন্দুদের
পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে হেনস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) ছবি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বিরুদ্ধে। এই ইস্যুতে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। আর সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদেই রাজপথে নামে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি নিয়ে মিছিল করেন তাঁরা।
এদিন কলকাতার সল্টলেকে আন্দোলনরত অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অফ কম্যুনিটি হেল্থ অফিসারসদের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর আইসিসিআর-এ প্রতিবাদ সভা হয়। সেখান থেকে রবীন্দ্র সদন (Rabindra Sadan) বা নন্দনে (Nandan) যান তাঁরা। কিন্তু আগে থেকেই সেখানকারে গেটে তালা দেওয়া ছিল। ফলে কেউই ঢুকতে পারেননি। বিজেপির অভিযোগ, ইচ্ছে করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে।
তবে শুভেন্দু অধিকারী, রুদ্রনীল ঘোষরা গেটে দাঁড়িয়ে থেকেই রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, 'জায়গাটা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের নিজের যে, এভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে?' বেশ কিছুক্ষণ সেখানে প্রতিবাদ চলার পর মিছিল করে বিজেপি।
মূল ঘটনা কী?
মেয়ো রোডে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেনার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে চাঁচল কলেজে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ঠিক সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছবির সঙ্গে রবি ঠাকুরের ছবিও পোড়ানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায়।
এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লিখেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তথাকথিত ‘ভাষা আন্দোলন’-এর নামে যেসব ভণ্ডামির নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে, মালদহের এই ঘটনাও তারই জঘন্য বহিঃপ্রকাশ। কবিগুরুর ছবি দাহ করার অপচেষ্টার মতো নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডকে যদি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দাঁড় করানো হয়, তবে সেটি বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয়।'