সাত দিনের আল্টিমেটাম
সাত দিনের মধ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) সহ যাবতীয় নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার রাজ্যের (West Bengal) সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দিল কমিশনের প্রতিনিধিদল। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে সমস্ত প্রস্তুতি। সময়মতো বিজ্ঞপ্তি জারি ও ফর্ম বিতরণে যেন কোনও গাফিলতি না হয়, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগেভাগেই।
মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে কমিশনের উচ্চপর্যায়ের দল। রয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। বুধবার সকালে তাঁদের নেতৃত্বেই হয় রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। যদিও উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সেখানকার বেশির ভাগ ডিইও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁদের জন্য পরে আলাদা করে বৈঠকের ভাবনাও রয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, এদিন একে একে সমস্ত জেলার প্রস্তুতির খতিয়ান চাওয়া হয়। কোথায় কতটা কাজ এগিয়েছে, সরেজমিনে সেই ছবি দেখা হয়। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেই ছাপার কাজ করতে হবে। বিহারের মতো এক জায়গা থেকে ফর্ম পাঠানোর পথে হাঁটবে না কমিশন।
রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার। তাঁদের জন্য ছাপাতে হবে অন্তত ১৫ কোটিরও বেশি আবেদনপত্র। প্রতিটি ভোটারের জন্য দু’টি করে ফর্ম-একটি ভোটারের হাতে থাকবে, অন্যটি সংগ্রহ করে আনবেন বিএলও। দিল্লি থেকে সফট কপি পাঠানোর পরই ফর্ম ছাপার কাজ শুরু হবে। তার পর সেই ফর্ম বিলি করা হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) হাতে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেগুলি পৌঁছে দেবেন তাঁরাই।
এদিনের বৈঠকে বিহারের উদাহরণ টেনে কড়া বার্তা দিয়েছেন জ্ঞানেশ ভারতী। কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিহারে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও যদি কেউ গাফিলতি করেন, তা হলে রেহাই নেই।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের জেরে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তাদের এই বৈঠক থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই উত্তরবঙ্গের জেলাশাসকদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক ডেকেও গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে কমিশন।