আশাকর্মী-অঙ্গনওয়াড়িদের মুখে হাসি
আশাকর্মী (Asha workers) থেকে অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadis), রাজ্যের প্রতিটি স্বাস্থ্য ও সমাজসেবার নেপথ্য যোদ্ধার মুখে এ বার হাসি ফোটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। কালীপুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) ঘোষণা করলেন, রাজ্যের সব আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। উদ্দেশ্য, তাঁদের আরও ভাল কাজের উৎসাহ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় স্মার্ট ফোন কেনায় সাহায্য করা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়িরা ভীষণ ভাল কাজ করেন। তাঁদের জন্যই বহু মানুষ উপকৃত হন। তাই পুরস্কার স্বরূপ প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন।”
আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি জানান, এই অর্থ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতর, নারী ও শিশু বিকাশ দফতর এবং সমাজকল্যাণ দফতরের যৌথ উদ্যোগে।
রাজ্যে বর্তমানে আছেন প্রায় ১ লক্ষ ৫ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ৭২ হাজার আশাকর্মী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে শীঘ্রই পৌঁছে যাবে এই অনুদান।
শুধু তাই নয়, এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ মোকাবিলায় অসাধারণ ভূমিকার জন্য বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মীদেরও পুরস্কৃত করেন।
যাঁরা এদিন সম্মানিত হলেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার অজিত রায়-সহ ৮ জন, ফুলবাড়ি ফায়ার স্টেশনের অফিসার রাজীব কুণ্ডু, ফরেস্ট গার্ড বঙ্কিম মণ্ডল, WBSEDCL-এর নাগরাকাটা স্টেশন ম্যানেজার রাজু টোপ্পো এবং নাগরাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, চিকিৎসক মোল্লা ইরফান হাসান।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আরও জানান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, মুর্শিদাবাদে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলির জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সব রকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।