শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পরিদর্শনে সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী! খুঁটিয়ে দেখলেন প্রস্তুতি |
শিঙারা, জিলিপি খাওয়ার সতর্কীকরণে কেন্দ্রের নির্দেশ মানবে না রাজ্য
ফাইল চিত্র
সিঙ্গারা জিলিপি-তে সতার্কীকরণ বিধিনিষেধ দিয়েছে কেন্দ্র। একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’। যেখানে বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবারে কত পরিমাণ চর্বি (ফ্যাট), শর্করা (সুগার) থাকে, তাতে কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক করতে হবে মানুষকে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা বাংলায় মানা হবে না বলে ঘোষণা করে দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
বাঙালির বিকেলবেলা মানেই বিভিন্ন রকম তেলেভাজার সঙ্গে মিষ্টিমুখে জিলিপি। কিন্তু এই ধরনের খাবারে সতর্কীকরণ করেছে কেন্দ্র। সিঙ্গারা, জিলিপির মত খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তা সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে এবং খাবারগুলিতে কতটা চর্বি বা শর্করা (সুগার) থাকে, তাতে কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক করতে হবে মানুষকে। কেন্দ্রের এই ফতোয়া রাজ্য তাল মানতে নারাজ।
‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’-এর তরফে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের এ ব্যাপারে যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশিই রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া, জনবহুল জায়গায় শিঙাড়া, জিলিপির মতো খাবারে ‘শারীরিক ঝুঁকি’র বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করতে হবে মানুষকে। যদিও কোনও ভাবেই এই খাবারগুলি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়নি নির্দেশিকায়। বিভিন্ন রাজ্যের এমসেও নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’।
কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ রাজ্যের মানুষের খাদ্যাভাসের হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। শাসকদলের মুখপাত্র তথা অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল বলেন, ‘‘শিঙাড়া জিলিপির উপর কুনজর পড়েছে কেন্দ্রের। নানা রকম ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের কোনও ফতোয়া মানা হবে না।’’
শিঙাড়া, জিলিপি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে গুলাবজামুন, বড়াপাও, পকোড়া, চিপ্সের মতো একাধিক খাবার। কেন্দ্রের তরফে কেন এই নির্দেশিকা, তার একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোন প্রেক্ষিতে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ওই চিকিৎসক বলেছেন, ‘‘চর্বি এবং শর্করা জাতীয় খাবারের কারণে তরুণ বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অসুখ হচ্ছে। ঘটছে প্রাণহানিও। সেই কারণেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সতর্ক করতে এই পদক্ষেপ।’’